ইংল্যান্ড নিউজিল্যান্ডের কাছে ইনিংস ব্যবধানে হারলো

মাউন্ট মঙ্গানুই’য়ে সিরিজের প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডকে ইনিংস ও ৬৫ রানের ব্যবধানে হারালো স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। ফলে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল কিউইরা। একমাত্র ইনিংসে ব্যাট হাতে ২০৫ রানের সুবাদে ম্যাচ সেরা হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের উইকেটরক্ষক বিজে ওয়াটলিং।

চতুর্থ দিন শেষেই ইনিংস হারের শংকায় পড়েছিলো ইংল্যান্ড। ২৬২ রানে পিছিয়ে থেক দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে দিন শেষে ৫৫ রানে ৩ উইকেট হারায় ইংলিশরা। তাই ইনিংস হার এড়াতে বাকী ৭ উইকেটে আরও ২০৭ রান করতে হতো ইংল্যান্ডকে। ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন জো ডেনলি।

পঞ্চম ও শেষ দিনের শুরু থেকে বেশ সর্তক ছিলেন ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। উইকেট বাঁচিয়ে খেলায় মনোযোগি হওয়ায় প্রথম সেশনে মাত্র ১ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ৪ উইকেটে ৯৮ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন-বিরতিতে যায় সফরকারীরা। প্রথম সেশনে পতন হওয়া ১টি উইকেট ছিলো ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জো রুটের।

নিউজিল্যান্ডের পেসার কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের বলে ১১ রানে থামেন রুট। দ্বিতীয় সেশনেও বেশ সর্তকতার সাথে ব্যাট করতে থাকেন ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। তাই প্রতিপক্ষের উইকেট শিকারের জন্য ঘাম ঝড়াতে হয় নিউজিল্যান্ডের বোলারদের। ডেনলি ও বেন স্টোকসের রক্ষনাত্মক ব্যাটিং নিউজিল্যান্ডের জন্য মাথা ব্যথার কারন হয়ে দাড়ায়। তবে ১১ রানের ব্যবধানে এই দু’জনকে ফিরিয়ে দিয়ে নিউজিল্যান্ডের জয়ের পথ তৈরি করেন নিল ওয়াগনার ও টিম সাউদি। ডেনলি ১৪২ বলে ৩৫ ও স্টোকস ৮৪ বলে ২৮ রান করেন।

দুই সেট ব্যাটসম্যান বিদায়ের পর ইংল্যান্ডের শিবিয়ে জোড়া আঘাত হানেন নিউজিল্যান্ডের ওয়াগনার। দুই বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান ওলি পোপ ও উইকেটরক্ষক জশ বাটলারকে দ্রুতই বিদায় দেন ওয়াগনার। পোপ ৬ ও বাটলার শুন্য রানে ফিরেন। ফলে ১৩৮ রানে অষ্টম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এতে নিউজিল্যান্ডের জয় সময়ের ব্যাপার হয়ে দাড়ায়।

কিন্তু নবম উইকেটে নিউজিল্যান্ডের বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন স্যাম কারান ও জোফরা আর্চার। দু’জনে ১০৯টি বল মোকাবেলা করে নিউজিল্যান্ডের জয়কে দীর্ঘায়িত করেন। কিন্তু আবারো নিউজিল্যান্ডের ত্রানকর্তা হয়ে উঠেন ওয়াগনার। ৫০ বলে ৩০ রান করা আর্চারকে তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডের নবম উইকেটের পত ঘটান ওয়াগনার।

আর্চারকে ফেরানোর পরের বলেই ইংল্যান্ডের শেষ ব্যাটসম্যান স্টুয়ার্ট ব্রডকে প্রথম বলেই বিদায় দিয়ে নিউজিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন ওয়াগনার। ৫৯ বলে ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন কারান। নিউজিল্যান্ডের ওয়াগনার ৪৪ রানে ৫ উইকেট নেন। ৪৩ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে এই নিয়ে অষ্টমবারের মত পাঁচ বা ততোধিক উইকেট শিকার করলেন ওয়াগনার। এছাড়া স্পিনার মিচেল স্যান্টনার ৫৩ রানে ৩ উইকেট নেন।

আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে হ্যামিল্টনে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ইংল্যান্ড : ৩৫৩ ও ১৯৭/১০, ৯৬.২ ওভার (ডেনলি ৩৫, বার্নস ৩১, ওয়াগনার ৫/৪৪)।
নিউজিল্যান্ড : ৬১৫/৯ডি, ২০১ ওভার (ওয়াটলিং ২০৫, স্যান্টনার ১২৬, কারান ৩/১১৯)।
ফল : নিউজিল্যান্ড ইনিংস ও ৬৫ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : নিল ওয়াগনার (নিউজিল্যান্ড)।
সিরিজ : দুই ম্যাচের সিরিজ ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান