ইউনিয়ন পর্যন্ত বাড়তি সরবরাহ করা হচ্ছে লবণের

গুজব ছড়িয়ে কিংবা কোন ধরনের সিন্ডিকেট তৈরি করে কেউ যাতে লবণের বাজার অস্থিতিশীল করতে না পারে সেজন্য ইউনিয়ন পর্যন্ত বাড়তি লবন সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যান মো. মোশতাক হাসান।

তিনি আজ বৃহস্পতিবার বলেন, কোন কুচক্রী মহল যেন যড়যন্ত্র করে লবণের বাজার অস্থিতিশীল না করতে পারে, সেজন্য সরবরাহ ব্যবস্থা শক্তিশালী করার পাশাপাশি সার্বক্ষণিক মনিটারিং করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা যথেষ্ট সহযোগিতা করছে বলে তিনি জানান।

লবণের দাম বেড়ে যাচ্ছে এমন গুজব ছড়ানোর পর গত মঙ্গলবার নিত্য প্রয়োজনীয় এই পণ্যটি কিনতে লোকজন দোকানে ভিড় করেন। দাম বাড়ার আশঙ্কায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনেককে বাড়তি লবণ কিনতে দেখা যায়। তবে সরকার, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ব্যবসায়ীদের তৎপরতার কারণে ওইদিন রাতেই লবনের দাম আবার স্বাভাবিক হয়ে আসে।

মোশতাক হাসান আরও জানান, বর্তমানে যে পরিমাণ লবন মজুদ আছে, তা দিয়ে ৬ থেকে ৮ মাসের চাহিদা মেটানো সম্ভব। এ অবস্থায় দেশে লবণের ঘাটতির কোন সম্ভাবনা নেই। উল্টো ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মজুদ লবণ বিদেশে রপ্তানির চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, আর যেন এ ধরনের পরিস্থিতি কেউ তৈরি করতে না পারে, সেজন্য ৬৪টি জেলাতে বিসিক মনিটরিং শুরু করেছে। এর পাশাপাশি ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রয়োজনের তুলনায় বেশি লবন সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সব ধরনের সহযোগিতা করছেন বলে তিনি জানান। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান