ইকোনোমিক জোনে জমি পাচ্ছে বার্জার পেইন্টস

মিরসরাই ও ফেনী ইকোনোমিক জোনে ৩০ একর জমি অস্থায়ী ইজারা পাচ্ছে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড। ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) কাছে আবেদন করেছিল কোম্পানিটি।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বেজা শর্ত সাপেক্ষে ৩০ একর জমি অস্থায়ী বরাদ্দের জন্য পত্র ইস্যু করেছে।

আগামী ১৭ অক্টোবর এ সংক্রান্ত একটি ইজারা চুক্তি সই হবে বেজা ও বার্জার পেইন্টসের মধ্যে। তারপর এই ইজারা কার্যকর করা হবে।

চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে। এপ্রিল থেকে জুন সময়ে বহুজাতিক কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৪ টাকা ৭৮ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ১৮ টাকা ৪০ পয়সা। ৩০ জুন এ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) হয় ২৯৮ টাকা ৮৯ পয়সা। এসময় কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট পরিচালন নগদ প্রবাহ দাঁড়িয়েছে মাইনাস ৬ টাকা ৭৬ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ১০ টাকা ১০ পয়সা।

এর আগে ৩১ মার্চ সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরের জন্য ২০০ শতাংশ নগদ ও ১০০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে বার্জার পেইন্টস। গেল বছর কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৭৭ টাকা ১০ পয়সা। ৩১ মার্চ কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২৮৪ টাকা ১১ পয়সায়।

২০১৭ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ১৫ মাসে সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ১৭৫ শতাংশ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশের পর আরো ৪২৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ দেয় বার্জার পেইন্টস। ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ৩৭০ শতাংশ নগদ দেয় বার্জার পেইন্টস।

২০০৬ সালে তালিকাভূক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ৪৬ কোটি ৩৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভ ৬২৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে ৯৫ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ১ দশমিক ৮৫ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ বিদেশী ও ১ দশমিক ৬০ শতাংশ রয়েছে সাধার বিনিয়োগকারীদের হাতে।