ইন্টারনেট ব্যবহারে সকলকে সচেতন হতে হবে: মোস্তাফা জব্বার

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ইন্টারনেটের বিশাল সুযোগ কাজে লাগাতে ইন্টারনেট ব্যবহারে সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

শনিবার ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে ১৪তম বাংলাদেশ ফোরাম (বিআইজিএফ) ২০১৯ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই আহ্বান জানান।

বিআইজিএফ সভাপতি এবং তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এশিয়া প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টার-এর পলিসি এন্ড কমিউনিটি বিষয়ক সিনিয়র এডভাইজার শ্রীনিবাস গাউদ চেন্দি এবং আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম বক্তৃতা করেন।

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট মানব সভ্যতার নতুন সুযোগ। ইন্টরনেটের সাথে আইওটি, বিগডাটা, এআই এবং কুয়ান্টাম কম্পিউটিং সংযুক্ত হওয়ার ফলে আগামী পাঁচ বছর পরের পৃথিবী হবে অবর্ণনীয়- অকল্পনীয়। ইন্টারনেটের বিশাল সুযোগ কাজে লাগাতে ইন্টারনেট ব্যবহারে সকলকে সচেতন হতে হবে। তিনি এই ব্যাপারে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমরা চাই বা না চাই ইন্টারনেট সভ্যতা ভয়াবহ রূপে আবির্ভূত হবে। ইন্টারনেটের ইতিবাচক দিক আমাদের কাজে লাগাতে হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে ইন্টারনেটকে সাইড লাইনে রাখার সুযোগ নেই।’ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে বাংলাদেশে গত এক দশকে ইন্টারনেটের ব্যাপক প্রসার হেয়েছে। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে দেশে মাত্র আট লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতো, যা বর্তমানে প্রায় ১০ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। সে সময় দেশে মোট ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করা হতো মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস, আর বর্তমানে ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হচ্ছে ১২শত ৫০ জিবিপিএস।

মন্ত্রী বলেন, দেশের প্রায় ৪ হাজারেরও বেশী ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এসওএফ তহবিলের মাধ্যমে দেশের ৪০টি দ্বীপ, চরাঞ্চলসহ দূর্গম এলাকায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও অধুনাল্প্তু ছিটমহলসহ ৭শ’ ৭২টি দূর্গম এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হচ্ছে।

ইন্টারনেটে বাংলা ভাষার উন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, আমরা এই বিষয়টিকে খুবই গুরুত্বের সাথে নিয়েছি। মাতৃভাষা নিয়ে আপস করার কোন সুযোগ নেই।

সভাপতির বক্তৃতায় সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ইন্টারনেটকে দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অগ্রযাত্রা আরও বেগবান করতে ডিজিটাল কমার্স আইন, সম্প্রচার আইন, ডাটা নিরাপত্তা সুরক্ষা আইন এবং ডিজিটাল কনটেন্ট ব্যাংক করা উচিৎ। তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/এমএইচ