ইসির অবস্থা পল্লীগীতির মতো: রিজভী

ফাইল ছবি

নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশনের অবস্থা পল্লীগীতির মতো – ‘বন্ধু, দেখিয়াও দেখলা না/বন্ধু, শুনিয়াও শুনলা না’।

সোমবার (১৪ মে) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ অভিযোগ করেন।

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে রিজভী বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও ভীতিমুক্ত পরিবেশ তৈরি না করে খুলনাকে এখন আতঙ্কের নগরীতে পরিণত করেছে। যাতে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে না পারে। খুলনায় যা হচ্ছে তা হলো- একনায়কতন্ত্রী শাসনব্যবস্থার প্রত্যক্ষ প্রতিফলন’।

রিজভী বলেন,  ‘আগামীকালের খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তারের পাশাপাশি খুলনা সিটিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তাণ্ডব চলছে। সেখানে বিএনপি নেতা-কর্মী ও ভোটারদের জন্য অঘোষিতভাবে চলছে কারফিউ, আর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের চলছে ফাঁকা মাঠে উৎসব।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জনগণের কোনো ভরসা নেই বলেই আমরা বারবার সেনাবাহিনী মোতায়েনের কথা বলেছিলাম। কিন্তু সরকার এ বিষয়ে গ্রিক মূর্তির মতো নিশ্চল ও নিশ্চুপ থেকেছে- যা দূরভিসন্ধিমূলক।

রমজানের আগে নিত্য পণ্যের দামের বিষয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ এ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, রমজান শুরুর আগেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। সবকিছুর দাম এখন আকাশছোঁয়া। কয়েকদিনের মধ্যেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা বৃদ্ধি করেছে। সরকারি দলের সিন্ডিকেট জিনিসপত্রের দাম কৃত্রিমভাবে বাড়িয়েছে। পিঁয়াজ, রসুন, চিনি, কাঁচা মরিচ, বেগুন, আলু, হলুদ, আদা, টমেটো, শসাসহ রমজান মাসে মানুষের অতি প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে।

রিজভী আরো বলেন, জিনিসপত্রের মূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি রমজানকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত মুনাফার জন্য অসৎ ব্যবসায়ীদেরই কারসাজি। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা এসব ব্যাপারে নির্বিকার। কারণ মানুষের কষ্ট হলেও মুনাফা করছে ক্ষমতাসীন দলের সিন্ডিকেটের লোকেরা।

আরজেড/