জাপানের কৃষি প্রযুক্তি কোম্পানি ইয়ানমার’র যাত্রা শুরু বাংলাদেশে

এসিআই মটরস জাপানের বিখ্যাত ইয়ানমার কোম্পানির সাথে ২০১৮ সালে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে। ওই চুক্তি অনুযায়ী উভয় প্রতিষ্ঠানই বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নে নতুন কলাকৌশল উদ্ভাবন ও উন্নয়নে এক সাথে কাজ করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় এসিআই মটরস ও ইয়ানমার এগ্রোটেক আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো।

১৯ জুন, বুধবার রাজধানীর অভিজাত হোটেলে কৃষিমন্ত্রী ডঃ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক ইয়ানমার এগ্রোটেক এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। প্রধান অতিথীর বক্তব্যে তিনি এসিআই ও ইয়ানমার’কে তাদের এই উদ্যোগের জন্য ভূয়সী প্রশংসা করেন।

নতুন এই আধুনিক যন্ত্রপাতি এদেশের কৃষকের উৎপাদন বৃদ্ধি ও আয় বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে বলে মনে করেন মন্ত্রী। কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, আজকে আমাদের জন্য আনন্দের একটি দিন। জাপানের ইয়ানমার অ্যাগ্রোটেক এবং আমাদের দেশের এসিআই মিলে কৃষি প্রযুক্তিতে কাজ করবে। ফলে আমাদের কৃষি শ্রমিকের অভাব কিছুটা হলেও পূরণ করবে। সেই সঙ্গে আমাদের কৃষি উৎপাদনে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোইয়সু ইযুমি, কৃষি মন্ত্রনালয়ের সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান ও ইয়ানমার অ্যাগ্রিবিজনেস এর প্রেসিডেন্ট হিরোআকি কিতাওকা বিশেষ অতিথী হিসেবে তাদের বক্তব্য প্রদান করেন।

এসিআই লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম. আনিস উদ্ দৌল, এসিআই লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডঃ আরিফ দৌলা, এসিআই মটরস্ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডঃ ফা হ আনসারী ও নির্বাহী পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া ইয়ামার এগ্রো ও এসিআই মটরস্ এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে বিক্রি করা ইয়ানমার হারভেস্টার ও ট্রান্সপ্লান্টার এর ক্রেতাগণও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের জমি ও ফসল উপযোগী অত্যাধুনিক সেন্সর বিশিষ্ট “ইয়ানমার” কম্বাইন হারভেস্টার দ্বারা কাঁদা ও শুয়ে পড়া জমির ধান বা গম কাটা, মাড়াই ও বস্তাবন্দী করা যায় এবং প্রতি একরে জ্বালানী খরচ হয় মাত্র ৭-৮ লিটার ডিজেল। এতে খরচ বাচেঁ ৬১ শতাংশ ও শ্রম বাঁচে ৭০ শতাংশ।

এছাড়াও “ইয়ানমার” রাইস ট্রান্সপন্ডাটার দিয়ে ১ ঘন্টায় ৫০ শতাংশ জমিতে ধানের চারা রোপণ করা যায় এবং এতে জ্বালানী খরচ হয় ৫ লিটার ডিজেল। আর খরচ বাঁচে ৩৭ শতাংশ ও শ্রম বাঁচে ৮০ শতাংশ।