ঈদে ফিটনেসবিহীন লঞ্চ নতুনরূপে

ঢাকার কেরানীগঞ্জে ছোট-বড় ৩০টি ডকইয়ার্ডে চলছে ফিটনেস বিহীন প্রায় ৭০টি লঞ্চের নতুন করে কেবিন সংযোগ ও মেরামতের কাজ। ঈদের সময় ঘরে ফেরা যাত্রীর চাপ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। আর এ সুযোগ কাজে লাগায় কিছু অসাধু লঞ্চ ব্যবসায়ী। খবর ইউএনবি’র।

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা রহমান ডকইয়ার্ড, বেবী শাহেব ডাকইয়ার্ডসহ ছোট বড় ৩০টি ডাকইয়ার্ড গিয়ে দেখা গেলো ফিটনেস বিহীন প্রায় ৭০টির মতো লঞ্চকে জোড়া তালি দিয়ে কেবিন বাড়ানো, আসন সংখ্যাসহ যাত্রীদের আকৃষ্ট করতে নতুনরূপে সাজ সজ্জার কাজ চলছে এসব ফিটনেসবিহীন লঞ্চের।

তবে, বিআইডাব্লিউটিএ’র ঢাকা নদীবন্দর যুগ্ম সচিব একেএম আরিফ উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, তারা এবার কোনো ফিটনেসবিহীন লঞ্চ ঈদ বহরে যোগ হতে দিবেন না।

তিনি আরও বলেন, কোনো লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে না পারে সে জন্য ঢাকা সদর ঘাট, চাঁদপুর, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে বিআইডাব্লিউটিএ’র কর্মকর্তা ও নৌ পুলিশের বিশেষ টিম ২ জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত টার্মিনালগুলোতে মনিটরিংসহ কঠোর অবস্থানে থাকবেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডকইয়ার্ডের শ্রমিক ও মিস্ত্রীরা রাতদিন পুরাতন ও ফিটনেসবিহীন লঞ্চের মেরামত কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে।

তবে এসব লঞ্চ মালিকরা দাবি করছে তাদের লঞ্চগুলোর ফিটনেসসহ যাবতীয় সনদ ঠিক আছে। তারা যাত্রীদের আকর্ষণ করতে নতুন করে মেরামতসহ নতুন রঙে সাজসজ্জা করিয়ে নিচ্ছেন। যাতে যাত্রীরা আকৃষ্ট হয়।

জানা গেছে, দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে ৩৭টি নৌ রুটে ঈদে প্রায় ৫০ থেকে ৭০ লাখ যাত্রীর একমাত্র বাহন লঞ্চ। এর মধ্যে ঢাকা-চাঁদপুর ও ঢাকা-বরিশাল রুটে বিলাশবহুল ৮০ থেকে ৯০ টি লঞ্চ ঝুঁকিমুক্ত থাকলেও মতলব, ভেদরগঞ্জ, ডামুঢ্যা, মূলাদী, গৌরনদী, পাতারহাট, রাঙ্গাবালি, গোসাইর হাট, কালাইয়া, পটুয়াখালী, মোড়লগঞ্জসহ ২৭টি নৌরুটে ফিটনেসবিহীন লঞ্চ চলাচল করছে।

লঞ্চ মালিক ও বিআইডাব্লিউটিএ’র কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে ফিটনেস বিহীন লঞ্চগুলো প্রতিকুল আবহাওয়ার মধ্যেও যাত্রী নিয়ে ঝুঁকিতে চলাচল করছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেন।

তার উপর রমজানের ঈদ ও কোরবানীর ঈদসহ বিশেষ সরকারি ছুটির দিনগুলোতে যাত্রীদের চাহিদা পূরণে ১৪০ থেকে ১৬০টি লঞ্চে প্রায় ৫০ লাখ থেকে ৭০ লাখ যাত্রী লঞ্চযোগে গন্তব্যে যাতায়াত করে থাকে। তখনই ফিটনেসবিহীন লঞ্চ মালিকরা বিআরটিএ’র অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ওইসব লঞ্চ বিভিন্ন নৌরুটে চলাচল করে।

আজকের বাজার/এমএইচ