উগ্রবাদ নির্মূল করতে আর্ন্তজাতিক-আঞ্চলিক পর্যায়ে এক সাথে কাজ করতে হবে: স্পিকার

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পর্যায়ে এক সাথে কাজ করে উগ্রবাদ নির্মূল করে শান্তিপূর্ণ বিশ্ব প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। উগ্রবাদ বৈশ্বিক সমস্যা- যা সভ্যতা ও মানবতার শত্রু।

তিনি আজ রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরায় কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম এবং স্টপ ভায়োলেন্স কোয়ালিশন সেক্রেটারিয়েট, রূপান্তর এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত‘উগ্রবাদ বিরোধী জাতীয় সম্মেলন-২০১৯’এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। স্পিকার এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার এবং জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।

উগ্রবাদকে সভ্যতা- মানবতার শত্রু উল্লেখ করে তিনি উগ্রবাদ বিরোধী সম্মেলন আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে হবে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের সতর্ক বার্তা।

শিরীন শারমিন বলেন, জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। পারিবারিক পর্যায় থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

তিনি বলেন, জঙ্গী অর্থায়ন বন্ধ করে উগ্রবাদ নির্মূল করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উগ্রবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। উগ্রবাদীরা যাতে এদেশের মাটিকে ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য সকলে সতর্ক থাকতে হবে। সমষ্টিগতভাবে উগ্রবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, কোনো মানুষ সন্ত্রাস বা উগ্রবাদী হয়ে জন্মগ্রহণ করে না। অনিষ্পন্ন বিরোধের দীর্ঘসূত্রিতা পরিত্যাগ করে আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদ কমিয়ে আনা সম্ভব। উগ্রবাদীদের জাতি-ধর্ম-দেশ নাই উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, উগ্রবাদ সকল উন্নয়নকে ম্লান করে দিতে পারে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে সমাজ থেকে উগ্রবাদ নির্মূল সম্ভব।

পরে স্পিকার উগ্রবাদ বিরোধী জনসচেতনতা বিষয়ক বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। খবর:বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান