উপাচার্য পরিদর্শন করলেন দেশের ১ম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের নির্মাণ কার্যক্রম

হাজার শয্যাবিশিষ্ট সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের নির্মাণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। আজ উপাচার্য দেশের প্রথম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের নির্মাণ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ এগিয়ে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন এই হাসপাতাল দক্ষিণ কোরিয়া, বাংলাদেশ সরকার ও বিএসএমএমইউয়ের যৌথ উদ্যোগ ও অর্থায়নে নির্মাণ করা হচ্ছে। আজ বিএসএমএমইউয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল হবে একটি রোগী বান্ধব সুবজ হাসপাতাল। এতে থাকবে সানকেন গার্ডেন, রুফটপ গার্ডেন ও অন্যান্য পরিবশেবান্ধব সুযোগ-সুবিধা। সুপরিসর এই হাসপাতালে বর্হিবিভাগ ও ইনফো ডেস্ক থাকবে। হসপিটাল ইনফরমেশন সেন্টার চালু করার মাধ্যমে রোগী ও হাসপাতাল পরিচালনা হবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর দিকে ১২ বিঘা জমির উপর দেশের প্রথম সেন্টার বেইজড চিকিৎসা সেবা চালু হবে এই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটিতে। দেশে এ ধরনের হাসপাতাল প্রথম হলেও সিঙ্গাপুর, কোরিয়াসহ বিশ্বের অধিকাংশ উন্নত দেশে সেন্টার বেইজড চিকিৎসা সেবা পদ্ধতি চালু আছে।

প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে ২টি বেজমেন্টসহ ১১তলা হাসপাতাল ভবন নির্মাণ করা হবে। সরকারের অর্থায়নে পরবর্তী ২ তলা উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা হবে।

সূত্র জানায়, নব নির্মিত হাসপাতাল ভবনের প্রথম পর্যায়ে থাকবে স্পেশালাইজড অটিজম সেন্টারসহ ম্যাটারনাল এন্ড চাইল্ড হেলথ কেয়ার সেন্টার, ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল কেয়ার সেন্টার, হেপাটোবিলিয়ারি ও গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি সেন্টার, কার্ডিও ও সেরিব্রো ভাসকুলার সেন্টার এবং কিডনি সেন্টার।

দ্বিতীয় পর্যায়ে রেসপিরেটরি মেডিসিন সেন্টার, জেনারেল সার্জারি সেন্টার, অফথালমোলজি/ডেন্টিস্ট্রি/ ডার্মাটোলজি সেন্টার, ফিজিক্যাল মেডিসিন/রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার থাকবে। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান