এইডস প্রতিরোধ ও নির্মূলে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এইডস প্রতিরোধ ও নির্মূলে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, দাতাসংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং গণমাধ্যমসমূহকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

আগামীকাল ১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস-২০১৯ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব এইডস দিবস, ২০১৯ উদযাপনের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানান। এ বছর বিশ্ব এইডস দিবসের প্রতিপাদ্য ‘এইডস নির্মূলে প্রয়োজন; জনগণের অংশগ্রহণ’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, বাংলাদেশে অদ্যাবধি এইচআইভি সংক্রমণের হার তুলনামূলকভাবে কম হলেও ভৌগোলিক অবস্থান, অসচেতনতা, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অনিয়ন্ত্রিত আচরণ, কুসংস্কার ও ভ্রান্ত ধারণার জন্য এইডস এর ঝুঁকি বিদ্যমান। তাই প্রতিকারের পাশাপাশি এইডস প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি, কুসংস্কার দূরীকরণ ও মানুষের আচরণ পরিবর্তনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ আবশ্যক।

তিনি বলেন, মরণঘাতি এ রোগের কোনো প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কার না হলেও বর্তমানে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। এইডস এর প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং আমৃত্যু এ চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হয়। তাই এইডস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সহজলভ্য এবং মানসম্পন্ন চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

আবদুল হামিদ বলেন, সরকার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে এইডস আক্রান্তদের বিনামূল্যে ঔষধ প্রদান ও এইডস প্রতিরোধে সামাজিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে এইডস নির্মূল করতে হলে সমাজের সর্বস্তরের জনগণের সম্পৃক্ততা খুবই জরুরি। খবর:বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান