বৈশাখের খরতাপে অতিষ্ট জনজীবন। এই গরমে ছোট বড় সবার অবস্থাই খুব খারাপ। যদিও একটু আধটু বৃষ্টি হচ্ছে, তবে গরম কমেনি।
গরমের যন্ত্রনায় কাতর যেন সব মহল। এসময়ে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে আমাদের পরিবারের ছোট্ট সোনামনিরা। গরমে ঘেমে শিশুদের ঠণ্ডা লেগে যায়। শিশুদের কিছু অসুস্থতার সঙ্গে তাদের মেজাজও খিটটিটে হয়ে যায়।
তাই এই গরমে সব শিশুদের সুস্থ রাখতে প্রয়োজন বাড়তি যতেœর। আপনার শিশু সুস্থ তো আপনি সুস্থ, নয়তো আপনিও অসুস্থতায় ভুগবেন। জেনে নিন প্রচণ্ড গরমেও আপনার সোনামনিকে সুস্থ রাখতে প্রয়োজনীয় কিছু পরামর্শঃ
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন আপনার শিশুকে। নিয়মিত সাবান দিয়ে গোসল করান। গোসলের পর শিশুর শরীর ভালো করে মুছে পাউডার দিন এতে করে আপনার শিশু ঘামাচির উপদ্রব থেকে মুক্তি পাবে।
গরমে আপনার শিশুর খাবার নির্বাচনে সচেতন হতে হবে। শিশুকে পুষ্টিকর এবং শরীরকে ঠা-া রাখে এমন খাবার দিতে হবে।
অন্যান্য খাবারের সঙ্গে এই গরমে শিশুকে প্রচুর পরিমাণে পানি ও ফলের জুস খাওয়ান। দুঃসহ গরমে শিশুর দুর্বলতা কাটাতে মাঝে মাঝে খাওয়ার স্যালাইন খেতে দিন। সুঁতি পাতলা কাপড়ের নরম পোশাক পরিধান করতে দিন। যাতে করে গরমের আর্দ্রতা থেকে অনেকটা উপশম হয়।
বাইরের গরমে শিশুকে যতোটা সম্ভব কম বের করুন। আপনার শিশুকে যতটা সম্ভব ধূলাবালি থেকে দূরে রাখুন। আপনার শিশু ঘেমে গেলে তার ঘাম মুছে দিতে হবে। শরীরে ঘাম শুকিয়ে গেলে শিশুর ঠা-া লেগে জ্বর হতে পারে।
অনেক সময় এই জ্বর অল্পদিনে এমনিতেই সেরে যায় কিন্তু বেশি দিন গড়ালে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো ব্যবস্থা নিন। গরমের সময় শিশুর চুল ছোট করে ছেঁটে রাখুন। মনে রাখবেন বড় চুল শুকাতে সময় লাগে, আর ঘামও বেশি হয়।
শিশুর যেন পর্যাপ্ত ঘুম হয় সেদিকেও ল্য রাখতে হবে আপনাকে। ঘরে ফ্যান বা এসির তাপমাত্রা শিশু যতটায় স্বস্তিবোধ করে অতটুকুই রাখুন। শিশুর যতœ নিন। শিশুর অসুস্থতার দুঃচিন্তামুক্ত থাকুন। এই গরমে লেবু বা ট্যাং দিয়ে শরবত করতে পারেন।
খুব বেশি গরমে গোসল করবেন না। কারন এতে শর্দি বা জ্বর হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে।
শরীরের ঘাম পুরোপুরি শুকাবেন তারপর গোসল করবেন। এতে যেকোন রোগ হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে। পরিবেশ এবং ঋতুর সঙ্গে সঙ্গে শিশুর যতেœর পার্থক্যও থাকে সে অনুযায়ী আপনার শিশুর যত্ন নিন।
এই গরমে রাতে ঘুমানোর সময় আপনার শিশুকে পাতলা ও ঢিলে ঢালা পোষাক পরিধান করান। এতে করে শিশুরা আরামের সঙ্গে ঘুমাতে পারবে। বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর আগে শিশুদের শরীর মুছে দিন।
আপনার শিশুর নিয়মিত পরিচর্যা নিন। শিশুকে সুস্থ রাখুন নিজে ভাল থাকুন।
আজকের বাজার: আরআর/ ২৬ এপ্রিল ২০১৭
