এটিএম দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা বদলে দিবে

‘মানুষের জীবনযাত্রা এটিএম ছাড়া এখন প্রায় অসম্ভব ব্যাপার । ব্যাংকিং লেনদেন আপনি ১০টা থেকে ৪টা পর্যন্ত করতে পারেন, কিন্তু এটিএম; অলমোস্ট বছরে ৩৬৫ দিন ২৪ ঘন্টা এই সার্ভিসটা পাচ্ছেন। আপনি যে কোনও সময়ে টাকা তুলতে পারছেন।
আমি যদি একটু ব্যাংক এন্ডে ফিরে যাই, ব্যাংকিং ব্যবস্থাটা কী ছিল? ট্র্যাডিশনাল ব্যাংকিং ব্যবস্থা ছিল। টেলার লেভেলে দেখা যেত, কিউ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। এক ঘন্টা-দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো টেলার লেভেলে; ব্যাংকিং আওয়ারের মধ্যে টাকাটা উইথ ড্র করতে হলে।
এখন কিন্তু খুব কম সময়ের মধ্যে ট্র্যানজাকশনগুলো হচ্ছে। সনাতন ব্যাংকিং থেকে এখন আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় চলে আসছে। এটা সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি, বাংলাদেশের ডিজিটাইজেশনের ফলে। এজন্য আমি আবারও ধন্যবাদ দিতে চাই মাননীয় অ্যাডভাইজার জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় সাহেবকে, যিনি সত্যিকার অর্থে, ডিজিটাইজেশনের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
এখনও কিন্তু আমরা ডিজিটাইজেশনের পূর্ণাঙ্গ সুবিধা পাচ্ছি না, ডিউ টু দ্যা শর্টেজ অব দ্যা কানেক্টিভিটি ইন দ্যা রিমোট এরিয়া। গ্রামে বা ইউনিয়ন পর্যায়ে যদি কানেক্টিভিটি অ্যাকটিভ হয়, ইন্টারনেট ফ্যাসিলিটি অ্যাকটিভ হয়, তখন এটিএমের ব্যবহার আরও বাড়বে, ব্যাংকিং ব্যবস্থাটাই বদলে যাবে। আপনি যদি গ্রাম বা ইউনিয়ন পর্যায়ে ফার্স্ট ট্র্যাক দেন, তাহলে ব্যাংকিং কিন্তু আপনি সেই লেভেলে করতে পারবেন। তাহলে গ্রামে থেকে মানুষ সহজেই ব্যাংকিং সেবা পাবে। এখন ঢাকায় মানুষ যে সেবাটা পাচ্ছে, সেটা কিন্তু তখন গ্রামের মানুষরাও পেতে পারে’- এসব কথা বলেছেন টেকনো মিডিয়ি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক যশোদা জীবন দেবনাথ। আজকের বাজার ও আজকের বাজার টেলিভিশন এবি টিভির সঙ্গে তাঁর আালাপচারিতার চুম্বক অংশ তাঁরই ভাষায় প্রকাশ করা হলো।

বক্তব্যের শুরুতেই বাংলাদেশের ডিজিটাইজেশনের রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দিতে চাই। ধন্যবাদ দিতে চাই প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি অ্যাডভাইজার জনাব সজীব আহমেদ জয় সাহেবকে, যিনি দেশকে সত্যিকারের ডিজিটাইজেশনের দিকে এগিয়ে নিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

এটিএম ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা
এই সময়ে এসে বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান পুরোপুরি বদলে যাচ্ছে। বাংলাদেশে এটিএম ব্যবহার অলমোস্ট ৫০%। যাদের অ্যাকাউন্ট আছে ব্যাংকে, ব্যাংক তাদের এটিএম কার্ড প্রোভাইড করছে। ফলে এখন মানুষ আর আগের মতো ব্রাঞ্চে যাচ্ছে না। এটিএম দিয়ে দৈনন্দিন লেনদেন হচ্ছে, ব্যাংক গ্রাহকদের জীবনযাত্রাও ভালো চলছে এটিএম ব্যবহার করে।

বাংলাদেশে এখন এটিএম প্রায় অপরিহার্য বিষয় । প্রতিটা ব্যাংকের গড়ে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৪০ কিংবা ১৫০-টা ট্র্যানজাকশন হচ্ছে, প্রতিটি এটিএম বুথে। সারা দেশে বিভিন্ন ব্যাংক মিলিয়ে এখন দশ হাজার এটিএম আছে। অলমোস্ট ওয়ান মিলিয়ন ট্র্যানজাকশন হচ্ছে পার ডে।

আপনি টেলার লেভেলে ধরেন, ২৫% থেকে ৩০% ট্র্যানজাকশন হচ্ছে। বাকি ৭০-৭৫% ট্র্যানজাকশন হচ্ছে অল্টারনেটিভ চ্যানেলে, কার্ডস, এটিএম, মোবাইল ব্যাংকিং ইত্যাদির মাধ্যমে। মানুষের জীবনযাত্রা এটিএম ছাড়া এখন প্রায় অসম্ভব ব্যাপার । ব্যাংকিং লেনদেন আপনি ১০টা থেকে ৪টা পর্যন্ত করতে পারেন, কিন্তু এটিএম অলমোস্ট বছরে ৩৬৫ দিন ২৪ ঘন্টা এই সার্ভিসটা পাচ্ছেন। আপনি যে কোনও সময়ে টাকা তুলতে পারছেন।

আমি যদি একটু ব্যাংক এন্ডে ফিরে যাই, ব্যাংকিং ব্যবস্থাটা কী ছিল? ট্র্যাডিশনাল ব্যাংকিং ব্যবস্থা ছিল। টেলার লেভেলে দেখা যেত, কিউ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। ১ঘন্টা-২ঘণ্টা ওয়েট করতে হতো টেলার লেভেলে, ব্যাংকিং আওয়ারের মধ্যে টাকাটা উইথ ড্র করতে হলে।

এখন কিন্তু খুব কম সময়ের মধ্যে ট্র্যানজাকশনগুলো হচ্ছে। সনাতন ব্যাংকিং থেকে এখন কিন্তু আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় চলে আসছে। এটা সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি, বাংলাদেশের ডিজিটাইজেশনের ফলে। এজন্য আমি আবারও ধন্যবাদ দিতে চাই মাননীয় অ্যাডভাইজার জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় সাহেবকে, যিনি সত্যিকার অর্থে. ডিজিটাইজেশনের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

এখনও কিন্তু আমরা ডিজিটাইজেশনের পূর্ণাঙ্গ সুবিধা পাচ্ছি না, ডিউ টু দ্যা শর্টেজ অব দ্যা কানেক্টিভিটি ইন দ্যা রিমোট এরিয়া। গ্রামে বা ইউনিয়ন পর্যায়ে যদি কানেক্টিভিটি অ্যাকটিভ হয়, ইন্টারনেট ফ্যাসিলিটি অ্যাকটিভ হয়, তখন এটিএমের ব্যবহার আরও বাড়বে, ব্যাংকিং ব্যবস্থাটাই বদলে যাবে। আপনি যদি গ্রাম বা ইউনিয়ন পর্যায়ে ফার্স্ট ট্র্যাক দেন, তাহলে ব্যাংকিং কিন্তু আপনি সেই লেভেলে করতে পারবেন। তাহলে গ্রামে থেকে মানুষ সহজেই ব্যাংকিং সেবা পেতে পারে। এখন ঢাকায় মানুষ যে সেবাটা পাচ্ছে, সেটা কিন্তু তখন গ্রামেও পেতে পারে।

আমেরিকান ব্র্যান্ড এলসিআর, আমি রিপ্রেজেন্ট করি বাংলাদেশে। এলসিআর যখন আমরা শুরু করি বাংলাদেশে, তখন মাত্র ১০%, সব মিলিয়ে তখন হয়তো ৩০০-৪০০র মতো এটিএম মেশিন ছিল বাংলাদেশে, ২০০৬-০৭ সালের দিকে। এই সময়ে এইচ.এস.বি.সি’র কয়েকটি এটিএম দিয়ে শুরু করেছি। তখন কিন্তু এই সুযোগটা মানুষ পেত না।

যত সহজলভ্য ভাবে ব্যাংকের গ্রাহকদের সেবা দিতে পারবেন, যত দ্রুত ট্র্যানজাকশন সম্পন্ন করা যাবে, ব্যাংকিং ফ্যাসিলিটিটা তত সঠিকভাবে হবে। এখনও গ্রাম-গঞ্জের মানুষ ব্যাংকিং সেবা থেকে দূরে আছে। ব্যাংকিং সেবা পাচ্ছে না, এই সংখ্যাটা কম নয়। একটা ব্রাঞ্চ করতে হলে বাংলাদেশে অনেক টাকার দরকার। কিন্তু একটা এটিএম, ফার্স্ট ট্র্যাক বসিয়ে দিতে কত টাকা লাগবে? কিন্তু ফ্যাসিলিটি সেইম। আপনি ট্র্যানজাকশন করতে পারবেন, আপনি ডিপোজিট দিতে পারবেন।

এখন কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের জীবন এটিএম ছাড়া অনেকটাই চিন্তা করা যায় না। যদি প্রশ্ন করি, কতদিন আপনি চেক দিয়ে ব্রাঞ্চে টাকা তুলতে যান না, তাহলে কিন্তু উত্তরটা পাওয়া যাবে, দীর্ঘদিন আপনি চেক বই দিয়ে ব্রাঞ্চে টাকা তুলতে যান না। যখনই আপনার টাকার দরকার হয়, আপনি কাছাকাছি এটিএম থেকে টাকা তোলেন। বেশিরভাগ মানুষই এখন আর ব্রাঞ্চে যায় না টাকা তুলতে, এটিএম দিয়েই ট্র্যানজাকশন করে থাকে।

উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের মানুষের উন্নত জীবনযাপন ও সুযোগ-সুবিধার জন্য আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। “ভিশন ২০২১” বা ২০২১ সালের মধ্যে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হব। “ভিশন ২০৪১” বা ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত দেশে পরিণত হব। তবে উন্নত জাতি হতে হলে, উন্নত সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে হলে আমাদের সমস্ত ব্যাংকিং ব্যবস্থার মান পরিবর্তন করতে হবে।
সেই আলোকে আমি বলতে চাই, আপনি যদি মিডল ইস্টে যান, দুবাইতে, অথবা ইউরোপে যান, লন্ডনে, দেখবেন, দেয়ার ইজ অ্যা স্মল ব্রাঞ্চ, নো পিপল ইনসাইড দ্যা ব্রাঞ্চ। অল আর অটোমেটেড সিস্টেম। আমাদের এলসিআর এ এই ধরনের এটিএম আছে, টেলারে হিউম্যান ইজ নট রিকোয়ার্ড। জাস্ট একটা এটিএম মেশিন বসানো থাকবে। আপনার সঙ্গে কার্ড না থাকলেও কিন্তু আপনি টাকা তুলতে পারবেন। কীভাবে?

আপনি একটা ব্রাঞ্চ টেলারে গেলেন, এটিএম বুথে। সেখানে হ্যান্ড হেল্ড স্পিকার আছে। জাস্ট ব্যাক এন্ডের ডাটা এনে কল সেন্টারে দিচ্ছে। সিসিটিভি আপনার ছবিটা ক্যাপচার করবে। আপনি আপনার নাম বলবেন, দে উইল ফাইন্ড ইওর অ্যাকাউন্ট নাম্বার। সে আপনার ছবি ক্যাপচার করবে, ভয়েস রেকর্ড করবে। তারপর আপনি যত টাকা তুলতে চান, তার পরিমাণ বলবেন। যদি অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা থাকে, তাহলে অটোমেটিকলি ট্র্যানজাকশন সম্পন্ন হবে। এটাই টেকনোলজির অ্যাডভান্টেজ। টোটাল ব্রাঞ্চিং ব্যবস্থাটাই আপনি একটা এটিএম দিয়ে শেষ করবেন। এটা আমাদের দেশে এখনও আসেনি। যে সীমাবদ্ধতাগুলো পাচ্ছি, সেগুলো অতিক্রম করার চেষ্টা করছি।
আপনি টাকা জমা দিবেন, এটিএম সেই টাকা জমা করে নেবে, সেই টাকাই অন্য কেউ উইথ ড্র করতে পারবে। সেই টাকাটা রি-সাইকেল হবে। লাইক ইন্টেলিজেন্ট মেশিন। আর হয়তো মাসখানেকের মধ্যে আমাদের মেশিনগুলো এরকম হয়ে যাবে, তখন আমরা এই প্রোডাক্টটা লঞ্চ করবো উইথ ইন সিক্স মান্থস।

তাতে সেবা দেবে যে সমস্ত ব্যাংক, তাদের খরচ কি বাড়বে?
না। আপনি একটা জিনিস চিন্তা করেন, ব্যাংকের টেলার লেভেলে মানি ডিপোজিট করা, এটা যদি ক্যালকুলেশন করে উইথ অল ইনফ্রাস্ট্রাকচার, হিউম্যান কস্টসহ সব কিছু যদি ক্যালকুলেশন করে, তাহলে দেখা যাবে, পার ট্র্যানজাকশন ১ ডলার ৫০ সেন্ট খরচ পড়ে। এখানে হয়তো তার ৫ ভাগের ১ ভাগ লাগবে।

তারপর ধরেন, হিউম্যান এরর। হিউম্যান থাকলে এরর সম্ভব, কিন্তু মেশিন এরর করবে না। আপনি যে কমান্ড করবেন, মেশিন এগজাক্টলি সেটাই ডেলিভারি দেবে। হিউম্যান থাকলে এরর ইনভল্ভমেন্ট থাকে, মিসটেক হয়। মেশিন কিন্তু মিসটেক করবে না, মেশিনটা আপনি প্রোগ্রাম করে দেবেন, আপনার প্রয়োজন অনুসারে।

আপনি টাকা ডিপোজিট করতে চাচ্ছেন, এখন যে কোনও ব্রাঞ্চে যান, টাকা ডিপোজিট করার জন্য আপনাকে লাইনে দাঁড়াতে হবে। একজন একজন করে আপনার সুযোগ আসবে, কাউন্টারে টাকাটা জমা দিলে তারা কাউন্ট করবে, তারপর আপনার টাকা অ্যাকাউন্টে জমা হবে।

কিন্তু মনে করেন, আপনি এটিএম মেশিনের মাধ্যমে পঞ্চাশ হাজার টাকা ডিপোজিট করবেন, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মেশিনে কাউন্ট হয়ে আপনার অ্যাকাউন্টে অটোমেটিক ডিপোজিট হয়ে যাবে, রিয়েল টাইম ডিপোজিট। আবার ওই টাকাটাই রিসাইকেল হবে টাকা তোলার ক্ষেত্রে। যেমন, অন্য একজন টাকা উইথ ড্র করবে, সেইম টাকাটাই তখন ব্যবহৃত হবে, উইথ ড্র করার ক্ষেত্রে। ব্রাঞ্চে গিয়ে আপনি টাকা জমা দেবেন, আবার এটিএম থেকে উইথ ড্র করবেন, এটাকে আরও সহজভাবে করে দিচ্ছে এটিএম মেশিন। একটা মেশিনেই আপনি টাকা জমা দিতে পারবেন, আবার উঠাতেও পারবেন। উইথ ইন সিক্স মান্থস আমরা এই প্রযুক্তি চালু করব।
এলসিআর গ্লোবালি এটিএম-এর মার্কেট লিডার। অন্যান্য এটিএম ভেন্ডরও এলসিআর কে ফলো করে।

তাহলে তো আমাদের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ব্রাঞ্চ ব্যাংকিং এর দরকার নাই?
এটিএম ইজ অ্যা ফিউচার ব্রাঞ্চ সলিউশন। আমাদের এলসিআরের এটিএমগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে, ফিউচার ব্রাঞ্চগুলোতে হিউম্যান থাকবে না, হিউম্যানলেস ব্রাঞ্চ, অল ডিজিটালাইজেশন। এটিএম মেশিনগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা যে, আপনার কার্ড নাই, চেক বই নাই, জাস্ট ইউ মেনসন ইওর নেম, যেটা ব্যাংকিং সিস্টেমে লিপিবদ্ধ করা আছে। ওখানে ডিসপ্লে আছে। সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ থাকবে এটিএমের ভেতরে। ছবি ক্যাপচার করবে। ভয়েস রেকর্ড করবে।

আপনি যত টাকা তুলতে চান, সেটা সিস্টেমকে জানাতে হবে। ব্যাক এন্ডে পিপল থাকবে, কলসেন্টারে, দে উইল অ্যালাউ টু উইথ ড্র দ্যা মানি। সো টোটালি একটা ব্রাঞ্চ, হিউম্যানলেস ব্রাঞ্চ। দিস মেশিন ইজ অ্যাভেইলেবল ইন দ্যা ওয়ার্ল্ড। আমাদের দেশে বা থার্ড ওয়ার্ল্ড কান্ট্রি লাইক ইন্ডিয়া, এই সমস্ত দেশে এখনও লঞ্চ করেনি, তবে এটা শিগগিরই আসছে। ইউ.এ.ই, ইউ.এস.এ, ইউ.কে. বা ইউরোপের দেশগুলোতে এখনই চালু আছে।

এ ব্যবস্থায় ব্যাংকের কী লাভ হবে
ব্যাংকের অবশ্যই লাভ হবে। বাংলাদেশের মানুষের এখন কিন্তু আগের মতো অবস্থা আর নেই। মানুষের জীবনযাত্রার মান কিন্তু বেড়েছে। আগে ইচ্ছা করলে যেমন ৫০০০ টাকা দিয়ে একজন কর্মচারি পাওয়া যেত, এখন কি বাস্তবে সেটা পাওয়া যায়? মাস্টার ডিগ্রি পাশ করা একজন শিক্ষিত ছেলে, তাকে কমপক্ষে ২০০-৩০০ ডলার পে করতে হয়। এই ডিজিটাইজেশনের ফলে আপনার হিউম্যান কস্ট কমে যাবে। ব্রাঞ্চ করতে অনেক স্পেস দরকার, সেটা কমে যাবে। ডিজিটাইজেশনের সুফল ব্যাপক হারে বাড়বে এটিএম ব্যবহার করে।

আপনি একটা ব্যাংকের কতগুলো ব্রাঞ্চ করবেন? কতজন লোক নিয়োগ করবেন? লিমিটেশন আছে। ব্যাংলাদেশ ব্যাংক এখন শুরু করেছে, এখন যদি তিনটা ব্রাঞ্চের অনুমতি দেয়, ১ টা সিটিতে, ২ টা বাইরে, আউট সাইডে। এখন কিন্তু অ্যাভেইলেবল ব্রাঞ্চের অনুমতি দিচ্ছে না, একটা ব্রাঞ্চ মানে অনেক খরচ। একটা শাখা চালু করতে হলে কমপক্ষে এক থেকে দেড় কোটি টাকা খরচ হয়। সেখানে ২০ জনের মতো লোক নিয়োগ করতে হয়, ডেপ্লয়মেন্টের দরকার আছে। সেখানে যদি একটা লোক দিয়ে, একটা ফার্স্ট ট্র্যাক দিয়ে আপনি যদি সেইম ফ্যাসিলিটি দিতে পারেন, তাহলে আপনি কেন ব্রাঞ্চ খুলবেন?

ডিজিটাইজেশনের অ্যাডভান্টেজ হলো আপনাকে সাপোর্ট দিতে হবে ২৪ ঘণ্টা সপ্তাহে ৭ দিন। আপনি যদি সাপোর্টটা ডেলিভারি চ্যানেল দিয়ে মেক শিওর করতে পারেন, তাহলে ব্রাঞ্চের দরকারটা কি? আপনি যদি ইউ.কে বা ইউ.এস.এ দেখেন, একটা ব্রাঞ্চে ব্যাংকের নিজস্ব লোক এক থেকে দুই জন, বাকি দশ বারো জন আউটসোর্সিং, থার্ড পার্টি প্রোভাইড করেছে। তার মানে নিজস্ব লোক খুবই কম, এবং সেখানে হিউম্যান কস্ট কিন্তু স্বাভাবিকের থেকে বেশি। কিন্তু অটোমেটেড টেলার আপনি দেখবেন প্রতিটা জায়গায়, আপনি শপিং মল বলেন, রেস্টুরেন্ট বলেন, স্মল শপ বলেন, সবজায়গাতেই এটিএম আছে।

নট অনলি এটিএম মেশিন, ফিউচার ইজ গোয়িং ফর কার্ডলেস ট্র্যানজাকশন, কার্ড ইজ নট রিকোয়ার্ড। ফর এক্সামপল, মোবাইল ব্যাংকিং। বিকাশের উদাহরণটা দেয়া যায় বা ডাচ্বাংলা ব্যাংকের রকেট। ইউ ক্যান সেন্ড দ্যা মানি থ্রো বিকাশ অর রকেট টু আদার পার্ট অব দ্যা কান্ট্রি। এই অ্যাডভান্টেজগুলো কিন্তু ওখানে থাকবে, হি উইল উইথ ড্র দ্যা মানি থ্রো দ্যা এটিএম মেশিন, কার্ডলেস ট্র্যানজাকশন।

আপনি যদি ওয়েস্ট ব্যাংককে যান, আপনি যদি ট্যাক্সিক্যাবে ওঠেন, সেখানে পে- এটিএম নামে একটা সিস্টেম আছে, আপনি আপনার মোবাইল থেকে তার মোবাইলে ট্রান্সফার করে পে করতে পারবেন। বাংলাদেশ ব্যাংক যদি অনুমতি দেয় যে, মোবাইলে শুধু ফান্ড ট্রান্সফার না, দৈনন্দিন জীবনযাপনে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে, মোবাইলের ডিজিটাল ওয়ালেট এর মাধ্যমে। দিস ইজ কামিং আপ। এটা সময়ের ব্যাপার মাত্র।

মাননীয় অর্থমন্ত্রী মহোদয় এবং গভর্নর সাহেব এটার যদি অনুমতি দেন, যে আমার মোবাইল ফোনটাই হবে আমার ওয়ালেট। আমি একটা শপিং মলে যাব, যেখানে বিল্ট ইন সফটওয়্যার কানেক্টেড উইথ দ্যা ব্যাংক। আই ক্যান বাই এনি প্রোডাক্ট থ্রো দ্যা মোবাইল ওয়ালেট। বাইরের দেশে কিন্তু এটা অবশ্যই হচ্ছে। ফর এক্সামপল, মেট্রো রেল চালু হচ্ছে,এর জন্য যদি সিস্টেম জেনারেট করা হয়, একটা অক্টো-পাস টাইপের কার্ড থাকবে। সেই কার্ড দিয়েই কিন্তু ট্র্যানজাকশন করতে পারবেন। হংকং এ ওখানকার কর্তৃপক্ষ ডিক্লেয়ার দিয়েছে, পুরস্কার ঘোষণা করেছে যে, ইফ ইউ ফাইন্ড ওয়ান পার্সন, হু নেভার ইউজড দিস অক্টোপাস কার্ড, তাকে পুরস্কৃত করবে। কারণ ওখানে হানড্রেড পার্সেন্ট পিপল ইজ ইউজিং দ্যাট কার্ড। বিকজ দ্যাট অক্টোপাস কার্ড আপনি ট্রেন লাইনে যান, বাসে ওঠেন, দোকানে যান, যেখানে যাবেন সেখানেই এটার ব্যবহার হবে।

আপনি একটা ট্যাক্সিতে উঠবেন, সেখানে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট একটা ডিভাইস আছে ট্যাক্সি ক্যাবে, মনে করেন, ১৩৫ টাকা বিল হয়েছে। খুচরা টাকা আপনার পকেটে নাই, আপনি জাস্ট ডিজিটাল ওয়ালেট থেকে পে করবেন। এটা অনেক উন্নত দেশেই আছে। এটা বাংলাদেশে আসার জন্য যে প্রতিবন্ধকতা ছিল, সেটা ওভারকাম করছে বাংলাদেশের সরকার।

সরকার ডিজিটাইজেশনে সহযোগিতা করছে
সরকার নানাভাবে ডিজিটাইজেশনে সহযোগিতা করছে। সফটওয়্যার ইমপোর্ট করার সময় ভ্যাট মওকুফ করেছে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রনোদনা দিচ্ছে, হাইটেক পার্ক করছে, জেলা শহরগুলোতে টেকনোলজি পার্ক করছে। আইটি ডিভাইস ইম্পোর্ট ডিউটি ফ্রি করে দিয়েছে। এখন বেসরকারি উদ্যোক্তাদের আসতে হবে, তারা আসলে কিন্তু এই সুবিধা অনেক দ্রুত বাংলাদেশে সহজলভ্য হবে।

ফ্রড বা জালিয়াতি বা রিস্কের জায়গাটা শুধু বাংলাদেশেই নয়, এটা একটা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ডিজিটাইজেশন থ্রেট, ইজ এ নেগেটিভ ফিডব্যাক। নেগেটিভ তো থাকবেই। নেগেটিভ থেকে পজিটিভে আসতে হবে। ইউ হ্যাভ টু রিসার্চ ফর দ্যা সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রোটেকশন। আপনি যদি ঘরের ভিতরে থাকেন, রাতে দরজা ওপেন করে রাখেন, দেন হু উইল প্রোটেক্ট ইউ? ইউ হ্যাভ টু মেজার ওয়ান, টু, থ্রি স্টেপস ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রোটেকশন। আপনাকে মাল্টিপল স্টেপের প্রোটেকশন নিতে হবে।

একটা উদাহরণ না দিলেই নয়, অ্যান্টি স্ক্যামিং ডিভাইস ফর দ্যা এটিএম মেশিন। কিছুদিন আগেও আপনি দেখেছেন, বিদেশি একটা চক্র এখানে এসে বেশ কিছু এটিএম বুথে স্ক্যামিং করেছে। বাংলাদেশে কোনও অ্যান্টি স্ক্যামিং ডিভাইস বসানো ছিল না। এখন অলমোস্ট সব ব্যাংকই করে ফেলেছে, বিকজ অব দ্যা প্রোটেকশন। এবং ব্যাংক এটা করার মানেই যে শেষ করে ফেলেছে তা নয়, আপনাকে এটা নিয়ে রিসার্চ করতে হবে। যে রিসার্চের পরে একটা অ্যান্টি স্ক্যামিং ডিভাইস বসানো হয়েছে, যারা স্ক্যাম করে, তারা কিন্তু ঐ স্টেজ পার করতে পারে। ফলে এখন আপনাকে সেকেন্ড অপশনে যেতে হবে। এখন কিন্তু বাংলাদেশে মোস্ট অব দ্যা ব্যাংকে ইএমভি কার্ডস, মানে কার্ডগুলো ইএমভি করে ফেলছে। আগে ম্যাগনেটিক স্টিক ছিলো। ইউরো মাস্টার ভিসার যে কার্ডগুলো, চিপলেস কার্ড। এটাও কিন্তু একটা অ্যাডভান্টেজ ফিচার, হয়তো পরে আবার নতুন কোনও কনসেপ্ট আসবে।

আপনাকে প্রতিনিয়ত কাজ করতে হবে। বাংলাদেশে যারা ফ্রন্ট এন্ডে কাজ করে, ব্যাক এন্ডে কিন্তু সো মেনি পিপল কাজ করতে হয় টু প্রোটেক্ট অ্যাগেইনস্ট দ্যা থ্রেট। বাংলাদেশে স্ক্যামিং এর পরেই কিন্তু থাইল্যান্ডে হয়েছে, এর আগে তাইওয়ানে হয়েছে। গ্লোবালি পিপল ইজ দেয়ার। ইউ নিড টু প্রোটেক্ট ইওর সিস্টেম অ্যাট এনি ওয়ে।

সবমিলিয়ে বলতে পারি যে, ফিউচার ব্যাংকিং টা এটিএমের মাধ্যমেই হবে। আমরা বলতে পারি যে, মানুষ এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে আমূল পরিবর্তন করে দেবে অটোমেটেড টেলার মেশিন বা এটিএম। এটা হতেই হবে, আমি অনেক আশাবাদী। ইন বাংলাদেশ, অটোমেটেড টেলার মেশিন ইজ রিয়েলি এ পার্ট অব দ্যা ফিউচার ডিজিটাইজেশন, এটা আমি বিশ্বাস করি।

যশোদা জীবন দেবনাথ
ব্যবস্থাপনা পরিচালক
টেকনোমিডিয়া লিমিটেড

 

আজকের বাজার: আরআর/ ১৬ আগস্ট ২০১৬