এতবড় ঋণ ভারত আর কাউকে দেয়নি: অরুণ জেটলি

ঢাকায় সফররত ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারতের শিকড় এক, দুই দেশের চ্যালেঞ্জও এক। দুই দেশের সম্পর্ক আজ এমন উচ্চতায় পৌঁছেছে যে, ভারত আজ তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশকে ঋণ দিতে যাচ্ছে।

ভারতীয় মন্ত্রী বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আজ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা অন্যান্য দেশের জন্য অনুসরণীয় মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারত এতবড় ঋণ আর কোনো দেশকে এখনো দেয়নি, যা বাংলাদেশকে দিচ্ছে। যা সম্ভব হয়েছে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণেই।

৪ অক্টোবর বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ ও ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের আয়োজনে ‘ভারত সরকারের ম্যাক্রো ইকোনমিক উদ্যোগ’ বিষয়ক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও উপস্থিত ছিলেন।

অরুণ জেটলি বলেন,এই দুই দেশের সম্পর্কের মাত্রা যে কোন পর্যায়ে আছে প্রতি বছর দেড় মিলিয়ন মানুষের ভিসাপ্রাপ্তিই তা প্রমাণ করে। ভবিষ্যতেও এ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।

ভারতের অর্থনীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতের প্রধান উদ্দেশ্য এখন ক্যাশলেস ডিরেকশনে যাওয়া। যদিও এটি ভারতের জন্য চ্যালেঞ্জ, কেননা এটি একটি ক্যাশভিত্তিক দেশ। নরেন্দ্র মোদি সরকার এসেই ক্যাশলেস অর্থনীতি নিয়ে কাজ করা শুরু করে। এর আগে ভারতের ৪২ শতাংশ ব্যাংকই এর বাইরে ছিল। তাদের ক্যাশলেস সিস্টেমের আওতায় আনা হচ্ছে।

অরুণ জেটলি বলেন,প্রতিটি পরিবার যেন একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে সেজন্য ৩০ কোটি পারিবারিক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, যার ৭৮ শতাংশ জিরো ব্যালেন্সে। এটি ভর্তুকি দিয়েই শুরু হয়েছে।

নগদ টাকার দিন শেষ উল্লেখ করে ভারতের অর্থমন্ত্রী বলেন,নগদ টাকার দিন শেষ, এখন আপনার কাছে যা আছে সবই ঘোষণা দিতে হবে। ব্যাংকের মাধ্যমে কাজ লেনদেন করতে হবে।

এর আগে সকালে বাংলাদেশকে ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা) ঋণ দেয়ার একটি চুক্তিতে সই করেছে ভারত। এটি ভারতের লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) নামে পরিচিত। এর আগেও এলওসির আওতায় দুইবার ঋণ দিয়েছে ভারত। এটি ভারতের তৃতীয় ঋণ।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে ৪ অক্টোবর ২০১৭