এবার ঈদে কী হবে ঘরমুখো মানুষের?

করোনার কারণে বেড়েছে সাধারণ ছুটি। বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এবার রোজা কাটছে আগের বছরগুলো থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিবেশে। ঈদের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। ইতিমধ্যে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠানের নির্দেশ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। করোনায় রোজার মতো ঈদেও থাকবে ভিন্ন চিত্র।

এবার ঈদ উদযাপন করতে হবে ঘরেই। করোনার সংক্রমণ রোধে ঈদের সময় কেউ নিজ কর্মস্থল ত্যাগ করতে না পারে, সেজন্য কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পথে পথে বসানো হবে চেক পোস্ট। যেন ভেঙে ভেঙে কেউ বাড়ি যেতে না পারে। সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে ঘরমুখো মানুষ স্বজনদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামে যেতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম বলেন, সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার কথা ভেবে শর্ত দিয়ে পোশাক কারখানা ও দোকান খুলে দিয়েছে সরকার। কিন্ত অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি না মানায় বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। আমরা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে দেশ লকডাউন রাখাসহ বেশকিছু সুপারিশ করেছি। সরকার সে আলোকে নির্দেশনা দিয়েছে। ঈদে নিজ কর্মস্থলে থাকাসহ যেসব নির্দেশনা রয়েছে তা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে সরকার।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার পর বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পাশাপাশি হাটবাজারের মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। গত কয়েক দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। যে যেখানে আছে, সেখানে ঈদ করতে হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা চট্টগ্রামসহ বিভিন্নি শহর থেকে ঈদের সময় লাখ লাখ মানুষ ঘরমুখো হয়। মহাসড়কে ও নৌযানে নামে মানুষের ঢল। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে এবার কঠোর অবস্থানে সরকার। পথে পথে বসানো হবে চেক পোস্ট।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনা রোগী যেন না বাড়ে সেজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চেষ্টা করছে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি সুপারিশ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সরকার সে আলোকে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানতে প্রয়োজনে আরো কড়াকড়ি আরোপ করা হবে। এজন্য ঈদ পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ঈদে মানুষ যেন ঢাকা থেকে অন্যান্য জেলায় বা এক জেলা থেকে আরেক জেলায় না যায়, সেজন্য গণপরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঈদের আগের ৪দিন এবং ঈদের পরে ২ দিন পণ্যবাহী যান এবং জরুরি সেবা ছাড়া সব যানবাহন বন্ধ থাকবে। যে যে কর্মস্থালে আছেন, সেখানে থেকেই ঈদ করবে। এক এলাকা থেকে অন্য যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচলে কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকবে।