এবার সেন্টমার্টিনের ১০৪ হোটেল মালিককে তলব

সেন্টমার্টিন দ্বীপে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ১০৪ আবাসিক হোটেলের মালিককে পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্রগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে আজ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কেন হোটেল নির্মাণ করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে হোটেল মালিকদের।

জানা গেছে, গতকাল রোববার, ১৪ মে পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্রগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মাসুদ করিম লিখিতভাবে এ নির্দেশনা দেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের এই কারণ দর্শানোর নোটিসে বলা হয়েছে, পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় (ইসিএ) হোটেল পরিচালনা করে সেন্টমার্টিন দ্বীপের ক্ষতি ও ইসিএ আইন এবং বিধি লংঘন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের সংরক্ষিত এলাকায় হোটেল নির্মাণ করে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে দ্বীপের পরিবেশ-প্রতিবেশের ক্ষতি সাধন এবং দ্বীপের সমুদ্র পাড়ে লাইটিং এর মাধ্যমে কচ্ছপসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর স্বাভাবিক জীবণ যাত্রা ও প্রজননে ব্যাঘাত করে দণ্ডনীয় অপরাধ করছে হোটেল মালিকরা।

এতে বলা হয়, তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড ইসিএ বিধিমালা ও বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন পরিপন্থী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এছাড়া সেন্টমার্টিন দ্বীপে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনাও রয়েছে। তাই পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া হোটেল নির্মাণ ও পরিচালনা করায় কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না আজ পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্রগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তার কারণ দর্শানোর জন্য হোটেল মালিকদের নির্দেশ দেওয়া হলো।

অন্যথায় পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও পরিবেশ আদালত আইন অনুযায়ী মামলা দায়েরসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও ওই নোটিসে বলা হয়। এর আগে গত ২২ এপ্রিল সেন্টমার্টিনে অবৈধভাবে নির্মিত ৩৮টি আবাসিক হোটেল ভাঙ্গার নির্দেশ দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর। আগামী ২০ মে-এর মধ্যে হোটেল কর্তৃপক্ষকে নিজ দায়িত্বে হোটেল সরিয়ে নিতে বলা হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম তলবের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরিবেশ আদালত আইন অনুযায়ী হোটেল মালিকদের বিরুদ্ধে মামলাও হতে পারে বলে জানান তিনি।

আজকের বোজার:এলকে/এলকে/ ১৫ মে ২০১৭