এলএনজি আমদানিতে কাতারের সঙ্গে চুক্তি

আজকের বাজার প্রতিবেদন
ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা পূরণে কাতারের র্যা সগ্যাসের সঙ্গে বছরে ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন এলএনজি সরবরাহের চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ।
গেলো সোমবার কাতারে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ এবং র্যা সগ্যাস মার্কেটিং কমিটির চেয়ারম্যান হামাদ রশিদ আল-মহান্নাদি এ সংক্রান্ত একটি চুক্তিপত্রে নিজ নিজ পক্ষে সই করেন।
দোহার শেরাটন হোটেলে অনুষ্টিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং কাতারের জ্বালানি ও শিল্পমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ বিন সালাহ আল-সাদা উপস্থিত ছিলেন।
নসরুল হামিদ র্যা সগ্যাসের সাথে এলএনজি সরবরাহের চুক্তি সই উপলক্ষে বর্তমানে কাতারে অবস্থান করছেন। তিনি ২৫ সেপ্টেম্বর কাতারের দোহায় জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জ্বালানি ও শিল্পমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ বিন সালাহ আল সাদার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় তারা পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী কাতারের মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ভ্রাতৃপ্রতিম কাতার আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতি করছে। এ উন্নয়নের জন্য নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ অপরিহার্য। বর্তমানে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা ৩ হাজার ৬০০ এমএমসিএফ। ২০৪১ সালে এই চাহিদা বেড়ে হবে ৮ হাজার এমএমসিএফ। বাড়তি চাহিদার অনেকাংশ এলএনজি দিয়েই পূরণ করতে হবে।
তিনি বলেন, পেট্রোকেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ বিরাজ করছে। তিনি এলএনজি সরবরাহ বৃদ্ধিতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কাতার সরকারের প্রতি আহবান জানান।
কাতারের শিল্প ও জ্বালানি মন্ত্রী বিপদের সময় রোহিঙ্গাদের পাশে থাকায় বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, কাতার সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে। শিল্প ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে দুই দেশ সমন্বিতভাবে কাজ করারও প্রুতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আশুদ আহমেদ ও কাতার পেট্রোলিয়ামের প্রেসিডেন্ট সাদ শেরিদা আল কাবি উপস্থিত ছিলেন।