এসিআই মোটরসে সংযোজন হবে ফোটনের বানিজ্যিক যান

বাংলাদেশে বছরে ৩৮ হাজার বাণিজ্যিক যানবাহন বিক্রি হচ্ছে। অর্থমূল্যে এ বাজারের আকার প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার। বার্ষিক প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৫ শতাংশ। এমন বাজারে স্থানীয়ভাবেই বাণিজ্যিক যান উৎপাদনে যৌথভাবে কাজ করবে চীনের ফোটন মোটর গ্রুপ ও এসিআই মোটরস লিমিটেড। নভেম্বরের মধ্যে সংযোজন শুরুর পর আগামী বছর ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্ট চালু করতে চায় তারা। দেশে ফোটন ব্র্যান্ডের সব বাণিজ্যিক যানের এক্সক্লুসিভ ডিলার ও সংযোজনকারী হওয়ার জন্য সোমবার সন্ধ্যায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছে এসিআই লিমিটেডের এই সাবসিডিয়ারি কোম্পানিটি।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ‘এক্সক্লুসিভ ডিলারশিপ ও লোকাল অ্যাসেমব্লিং (সিকেডি)’ চুক্তিতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সই করেন এসিআই মোটরসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এফ এইচ আনসারী এবং ফোটন মোটর গ্রুপের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেভিড লি। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম, ফোটন ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট চ্যাং রুই ও এসিআই মোটরসের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাসও উপস্থিত ছিলেন।

ফোটন ও এসিআইয়ের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ফোটন মোটর গ্রুপ বিশ্বের ১ নম্ব্বর বাণিজ্যিক যান উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। তারা পিকআপ, ডাবল কেবিন পিকআপ, স্কুলভ্যান, ডাম্প ট্রাক, ট্রানজিট মিকচার, বাল্ক সিমেন্ট ক্যারিয়ার, ফায়ার সার্ভিস ভেহিকল, ক্লিনিং ভেহিকল, হেভি ক্রেন ইত্যাদি উৎপাদন করে। বছরে তারা ৮০ লাখ যান তৈরি করে। অন্যদিকে এসিআই মোটরস দেশের কৃষি যন্ত্রের বাজারে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান। এছাড়া নির্মাণ খাতের জন্য বিভিন্ন ভারী যন্ত্র বাজারজাত করে কোম্পানিটি। জাপানের ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলও বাজারজাত করছে তারা। আগামীতে যার সংযোজন কারখানা চালু করা হবে।

ড. এফ এইচ আনসারী বলেন, চীনের ফোটন মোটর গ্রুপ বিশ্বের শীর্ষ বাণিজ্যিক যানবাহন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে গাড়ি সংযোজনের কারখানা করতে চায় তারা। আগামী নভেম্বরে ফোটন ব্র্যান্ডের যানবাহন বাজারজাত শুরু হবে। কৃষি যন্ত্রের মতো এসব গাড়ির ক্ষেত্রেও দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করবে এসিআই। আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে দেশে বাণিজ্যিক যানবাহনের বাজারের ১০ শতাংশ নিজেদের দখলে নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে এসিআই মোটরসের।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, দেশের পরিবহন খাতের অনেক কিছুর উন্নতি দরকার। সেক্ষেত্রে সমাধান দিতে পারে ফোটন। তাদের সব ধরনের যানবাহন আছে। তিনি ফোটনকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ফোটন বিশ্বের সব দেশের বাজারকে মাথায় রেখে এ দেশে কারখানা করতে পারে।

ফোটন ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট চ্যাং রুই বলেন, ২০১৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশে এসিআইয়ের সঙ্গে যানবাহন সংযোজনের কারখানা প্রতিষ্ঠা করা হবে। চীনে শ্রমব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। বাংলাদেশে তা অনেক কম। এ কারণে আগামী দিনগুলো বিশ্বের বড় উৎপাদকদের নজর থাকবে বাংলাদেশের দিকে। একসময় এ দেশে গাড়ি উৎপাদনের কারখানা হতে পারে।

জাকির/আজকের বাজার