ওকলা স্পিডটেস্টে আবারো দ্রুততম নেটওয়ার্ক এর স্বীকৃত পেল গ্রামীণফোন

ইন্টারনেটের গতি পরীক্ষা ও  বিশ্লষনে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ‘ওকলা’ পরিচালিত নিরীক্ষায় ২০১৯ সালের প্রথম ও দ্বিতীয় প্রান্তিকে আবারো বাংলাদেশের ‘দ্রুততম মোবাইল নেটওয়ার্ক’ এর স্বীকৃতি পেয়েছে গ্রামীণফোন।

গ্রামীণফোন মনে করে সম্মানিত গ্রাহকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা ও আস্থা প্রতিষ্ঠানটিকে প্রতিনিয়ত নিজেদের আরো উন্নত করতে উদ্বুদ্ধ করছে।

স্পিডটেস্ট অ্যাওয়ার্ড’ বিজয়ী নির্বাচনের জন্যে ‘স্পিড-স্কোর’প্রক্রিয়ায় মোবাইল অপারেটরদের ডাউনলোড এবং আপলোড স্পিড পরীক্ষা করার মাধ্যমে নেটওয়ার্ক স্পিড পারফরম্যান্সের ক্রম নির্ণয় করা হয়। গত ২০১৮ সালে ৯.২৫ স্কোর নিয়ে বিজয়ী হওয়ার পর থেকে পর্যায়ক্রমিকভাবে উন্নতকরণের মাধ্যমে ২০১৯ সালে ১০.৬০ স্কোর অর্জন করে গ্রামীণফোন।

এই অর্জন সম্পর্কে গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও ও সিএমও ইয়াসির আজমান বলেন,“আমরা এই পুরস্কারটি আমাদের গ্রাহকদের প্রতি উৎসর্গ করছি। গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে আমরা সবাই মিলে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাম্প্রতিক সময়ে আরোপিত অন্যয্য বিধিনষেধ সত্বেও আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

ইয়াসির আজমান বলেন, “টানা দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের দ্রুততম মোবাইল নেটওয়ার্ক হিসেবে ‘ওকলা অ্যাওয়ার্ড’ প্রাপ্তি হচ্ছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নেটওয়ার্ক আপগ্রেড করায় আমাদের সকল প্রয়াসের একটি স্বীকৃতিস্বরূপ। তবে আমাদের কাজ এখানেই শেষ নয় বরং ভবিষ্যতে উন্নয়ন ও উদ্ভাবনের এই ধারা বজায় রাখতে  আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে।”

উল্লেখিত ফলাফলে পৌঁছাতে দেশের সকল শীর্ষস্থানীয় অপারেটরের নেটওয়ার্ক সমর্থিত আধুনিক প্রযুক্তির ডিভাইসে ইন্সটলকৃত স্পিডটেস্ট অ্যাপে গ্রাহকভিত্তিক টেস্ট পরিচালনার মাধ্যমে পরীক্ষা চালায় ওকলা। নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবধানে পরিচালিত টেস্টে উঠে আসে বাংলাদেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেট গ্রামীণফোনের। ওকলা স্পিডস্কোর পরীক্ষার ক্ষেত্রে দ্রুততম গতির নেটওয়ার্কে সংযোগ স্থাপনে সক্ষম আধুনিক ডিভাইস ব্যবহার করা হয়।

ওকলার এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট  জেমি স্টিভেন বলেন,“বাংলাদেশের দ্রুততম নেটওয়ার্ক হিসেবে গ্রামীনফোনকে স্বীকৃতি দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। এবছরের প্রথম এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকে গ্রাহকদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে গ্রহণ করা ‘স্পিডটেস্ট’ পরীক্ষার ফলাফল চুলচেরা বিশ্লেষণে অনবদ্য পারফর্মেন্স করার কারণেই এই স্বীকৃতি পেয়েছে গ্রামীণফোন।”

২০১৯ সালের জুন মাস পর্যন্ত গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা দাড়িয়েছে ৭ কোটি ৫৩ লাখ। দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটি নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন ও ৪জি সেবা সম্প্রসারনে ৩৮০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে।১৬হাজারের ও বেশি সাইট নিয়ে গ্রামীণফোন নেটওয়ার্ক এখন ১০০ শতাংশই মোবাইল ব্রডব্যান্ড কাভারেজ দিচ্ছে।