ওসি মোয়াজ্জেমের জামিন নামঞ্জুর

সোনাগাজী থানার প্রাক্তন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। আগামী ৩০ জুন এ মামলায় চার্জ গঠনের তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

গত ২৭ মে মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রীমা সুলতানা। প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ওই দিনই মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ২০ দিন পর হাইকোর্টের সামনে থেকে রোববার বিকেল ৩টার দিকে মোয়াজ্জেম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন গত ১৫ এপ্রিল আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২৭ মার্চ মেয়েটিকে অধ্যক্ষ তার কক্ষে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন বলে অভিযোগ উঠলে তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন অধ্যক্ষ এবং ছাত্রীকে থানায় নিয়ে যান। ওই সময় ওসি নিয়মবহির্ভূতভাবে জেরা করতে করতেই অনুমতি ছাড়াই নুসরাত জাহান রাফির বক্তব্য ভিডিও করেন। ওই ভিডিও ফেসবুক ও ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, ওসি অত্যন্ত অপমানজনক এবং আপত্তিকর ভাষায় নুসরাতকে একের পর এক প্রশ্ন করে যাচ্ছেন। এমনকি ভিডিওর একপর্যায়ে দেখা যায়, বুকে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করেছে কি না, রাফিকে সে কথা জিজ্ঞেস করেন ওসি, যা অত্যন্ত মানহানিকর।

অভিযোগে বলা হয়, অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ও মামলা তুলে নেওয়ার জন্য গত ৬ এপ্রিল মুখোশ পরা ৪/৫ জন রাফিকে চাপ প্রয়োগ করলে রাফি মামলা তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর তারা রাফির গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। টানা পাঁচ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রাফি মারা যান।

ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন নিয়মবহির্ভূতভাবে অনুমতি ছাড়াই নুসরাত জাহান রাফির ভিডিও ধারণ করে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার করেন এবং অপমানজনক ও আপত্তিকর ভাষা প্রয়োগ করে মানহানি করেছেন, যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।

আজকের বাজার/এমএইচ