কক্সবাজারে অপহৃত শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় অপহৃত এক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার (১৫ জুলাই) সকালে খুটাখালী চিংড়ি জোনখ্যাত বহলতলী বড় মসজিদ ঘোনার বাইরে বাঁধের কিনারে মরদেহটি পাওয়া যায়।

নিহতের নাম ছৈয়দুল করিম (৩৫)। তিনি খুটাখালীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেধাকচ্ছপিয়া এলাকার ফজল করিমের ছেলে। দাম্পত্য জীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক।

এর আগে শনিবার (১৪ জুলাই) ভোরে খুটাখালীর উপকূলীয় চিংড়ি ঘেরে ডাকাতির পর তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ সশস্ত্র ডাকাতদল।

নিহতের শ্বশুর আশরাফ আলী বলেন, শুক্রবার দিবাগত ও শনিবার ভোরে সংঘবদ্ধ সশস্ত্র ডাকাতদল হামলা চালিয়ে ঘের শ্রমিকদের জিম্মি করে মাছ, জাল লুট করে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। লুট শেষে যাওয়ার সময় এলোপাতাড়ি গুলি করে ঘের শ্রমিক ছৈয়দুল করিমকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। রোববার সকাল ৯টার দিকে খবর পাই বহলতলী বড় মসজিদ ঘোনার বাইরে বাঁধের কিনারে ছৈয়দুল করিমের মরদেহটি পড়ে আছে।

পরে পুলিশসহ এলাকায় গিয়ে দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাকে নির্যাতন করে হত্যার পর মরদেহটি হয়তো সেখানে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা।

সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ঘের শ্রমিকরা জানান, ডাকাতরা প্রথমে ফাঁকা গুলি করতে করতে তাদের বাসায় পৌঁছলে প্রাণভয়ে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ডাকাতরা তাদেরকে লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালায়। যে যার মতো পালিয়ে বাচঁলেও তারা গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।

খুটাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রহমান বলেন, ডাকাতি ও অপহরণের ঘটনাটি লোকেমুখে শুনে পুলিশকে অবহিত করেছিলাম। সেই অপহৃত ঘের শ্রমিক ছৈয়দুল করিমের মরদেহটি রোববার সকালে ঘেরের বাইরে পাওয়ার পর আবারও পুলিশকে জানানো হয়।

চকরিয়া থানা পুলিশের ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, ডাকাতি ও অপহরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। মরদেহের খবর পেয়ে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আজকের বাজার/একেএ