কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় মোরা

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মোরা কুতুবদিয়ার কাছ দিয়ে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করছে। আজ ৩০ মে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করে চট্টগ্রামের দিকে অগ্রসর হয় ঘূর্ণিঝড়টি। সেটি কুতুবদিয়ার কাছ দিয়ে চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর ঘূর্ণিঝড় মোরা উত্তর দিকে অগ্রসহ হয়ে ধীরে ধীরে নিম্নচাপে পরিণত হবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৬ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে আরও আরও জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোরার প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।

বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার; যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়া আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজার উপকূলকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ওই এলাকায় সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

সকাল ৮টার দিকে কক্সবাজারের ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড় মোরা। এর প্রভাবে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফের অনেক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ভেঙ্গে পড়েছে অনেক গাছপালা। এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির সংবাদ পাওয়া যায়নি।

সেন্টমার্টিন ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান খান জানান, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ভোররাত ৪টার পর থেকে সেন্টমার্টিন লণ্ডভণ্ড হতে শুরু করে। ৬টার দিকে সেন্টমার্টিনের প্রায় দুই শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কাঁচা ঘর, আধা পাকা ঘরবাড়ি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে জানানো হয়, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/৩০ মে ২০১৭