করোনাভাইরাস শনাক্তে চমেক হাসপাতালে ল্যাব চালু

করোনাভাইরাস শনাক্তে নমুনা পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চালু হয়েছে রিয়েল টাইম পলিমারেজ চেইন রি-অ্যাকশন (আরটি-পিসিআর) ল্যাব।

চট্টগ্রামে বিআইটিআইডি ও সিভাসু’র পর করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য এটি তৃতীয় ল্যাব। চমেকের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে স্থাপিত ল্যাবটি আজ সকালে উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

উদ্বোধনের পর পরীক্ষামূলক নমুনা টেস্টের মধ্য দিয়ে ল্যাবের কার্যক্রম শুরু হয়। এখন থেকে রোগীর সংগৃহীত নমুনা এ ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে। শুধুমাত্র চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার করোনা পরীক্ষা হবে এই ল্যাবে। এর ফলে নমুনা দিয়ে ফলাফল জানার জন্য বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না।

তবে চমেকে সরাসরি কোনো নমুনা সংগ্রহ করা হবে না। বিভিন্ন হাসপাতাল নমুনা সংগ্রহের পর এই ল্যাবে পাঠাবে। পরীক্ষা শেষে সংশ্লিষ্টদের ফলাফল জানিয়ে দেবে চমেকের ল্যাব।

চমেকের মাইক্রোবায়োলজী এন্ড ভাইরোলজি বিভাগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবীর, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর, চমেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ শামীম হাসান, সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুল হক খান, সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী এবং চমেক মাইক্রোবায়োলজী বিভাগের প্রধান ডা. মো. এহসানুল হক।

চমেক মাইক্রোবায়োলজী বিভাগের প্রধান ডা. মো. এহসানুল হক জানান, চমেক বায়োকেমিস্ট্রি মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে ১১ জন চিকিৎসক রয়েছেন। তারমধ্যে মাইক্রোবায়োলজি ৭ জন শিক্ষক রয়েছেন। তার মধ্যে একজন সহযোগি অধ্যাপক, দুইজন সহকারী অধ্যাপক ও চারজন এমফিল করা প্রভাষক রয়েছেন।

তিনি বলেন, বায়োকেমিস্ট্রি ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চিকিৎসকরা পালা করে ল্যাবের দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও বায়োকেমিস্ট্রি ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে ৪ জন টেকনোলজিস্ট রয়েছে। কলেজের বিভিন্ন বিভাগে রয়েছে আরো ৭ জন। কলেজের অধ্যক্ষ তাদেরকে পিসিআর ল্যাবের সাথে সংযুক্ত করেছে। সবমিলিয়ে পিসিআর ল্যাবে ১১ জন টেকনোলজিস্ট কাজ করবেন।