করোনাভাইরাস: সাভার ও আশুলিয়ায় শতাধিক পোশাক কারখানা এখনো খোলা

সরকারি আদেশে ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার পোশাক কারখানাগুলো বন্ধ থাকলেও করোনাভাইরাসের বিরূপ পরিস্থিতি উপেক্ষা করে সাভার ও আশুলিয়া শিল্প এলাকার শতাধিক পোশাক কারখানা এখনো খোলা রয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, সাভারের হেমায়েতপুর, উলাইল, তেতুলঝোড়া, রাজফুল বাড়ীয়া, উলাইল, কর্নপাড়া আশুলিয়ার চারাবাগ, খেজুর বাগান, জিরাবো, ঘোষবাগ, জামগড়াসহ বিভিন্ন স্থানের পোশাক কারখানাগুলো খোলা রয়েছে।

শ্রমিকদের অনিচ্ছা সত্বেও মালিক পক্ষ জরুরি বিবেচনায় প্রতিষ্ঠান খোলা রেখেছেন অভিযোগ করে শ্রমিকরা বলছেন, পোশাক মালিকরা করোনাভাইরাস কি তা যেন ভুলেই গেছেন। তারা আরও বলেছেন, কাজ না করলে পেটের খোড়াক জোগার হবে না। তাই করোনাভাইরাসে তাদের কিছু যায় আসেনা।

উলাইল বাসষ্ট্যান্ডে আনলিমা গার্মেন্ট কারখানার শ্রমিক সাফিয়া, দুলিয়া বেগম, নাজমা আকতার ও সুফিয়া বেগম জানান, মালিকপক্ষ তাদেরকে চাকুরিতে যোগদানের নির্দেশ দিয়েছেন, তা না হলে চাকুরি চলে যাবে। তাই করোনাভাইরাসের এমন আতঙ্কের মধ্যে চাকরি হারানোর ভয়ে তারা কর্মস্থলে এসেছেন। অপরদিকে প্রায় ৫০০ গজ দুরত্বে দোয়েল গ্রুপের শ্রমিক মজিজা, আবু তালেব ও সুখী আকতার জানান, তাদের কারখানায় জরুরি রপ্তানি আদেশ আছে। তাই মালিক পক্ষের তাগাদায় তারা কাজে যোগদান করেছেন। পাশের তেতুলঝোড়ায় এজেআই কারখানার শ্রমিকগনও প্রায় একই কথা জানান।

এদিকে, ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (ইউপিজেড) কারখানাগুলো সরকারি নির্দেশে বন্ধ রয়েছে। সাভার, আশুলিয়া, ধামরাইয়ে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকায় বেশিরভাগ পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় টহল দিচ্ছে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। জনসাধারনকে অযথা বাড়ির বাইরে বের হলেই জরিমানা করা হচ্ছে। যোগাযোগ করা হলে সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, ‘প্রশাসনের কঠোর নজর দারি রয়েছে, প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে যেন না বের হয় সেই ব্যবস্থা আমরা করেছি।’ সূত্র-ইউএনবি

আজকের বাজার/ শারমিন আক্তার