করোনার টিকার তথ্য হ্যাকিংয়ের অভিযোগ ভিত্তিহীন: রাশিয়া

করোনার টিকা নিয়ে চলা গবেষণার তথ্য হ্যাকিংয়ের চেষ্টা করছে রাশিয়া বলে যুক্তরাজ্য যে অভিযোগ করেছে; তা উড়িয়ে দিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। খবর সিএনএনের।

পেসকভ বলেন, কেউ যুক্তরাজ্যের ওষুধ কোম্পানি ও গবেষণা কেন্দ্রগুলোর তথ্য হ্যাক করার চেষ্টা করেছিল বলে আমাদের কাছে তথ্য নেই। তিনি যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে মস্কোর হস্তক্ষেপের অভিযোগকেও ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা সেন্টার (এনসিএসসি) রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোভিড-১৯ টিকার গবেষণার তথ্য হ্যাকিংয়ের অভিযোগ আনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পেসকভ ওই অভিযোগকে ভিত্তিহীন আখ্যা দেন বলে জানিয়েছে রুশ বার্তা সংস্থা তাস।

ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার কাছ থেকে আসা এক সমন্বিত বিবৃতিতে এই সাইবার হামলার জন্য এপিটি২৯ গ্রুপকে দায়ী করা হচ্ছে। গ্রুপটি অবশ্য কজি বিয়ার নামেও পরিচিত।

তারা বলেন, নিশ্চিতভাবে তারা রুশ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অংশ হিসেবে এ অভিযান চালিয়েছে। অপারেশনের পল চিচেসটারের পরিচালক এনসিএসসি বলছে, করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্বপূর্ণ কাজে এই ন্যক্কারজনক হামলার নিন্দা জানাই।

সাইবার নিরাপত্তা গবেষকরা বলছেন, গত বছরে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, চীন ও আফ্রিকায় গ্রাহকদের বিরুদ্ধে এপিটি২৯ হ্যাকিং টুল ব্যবহার করা হয়েছে। মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের বরাতে রুশ সংবাদ সংস্থা আরআইএ বলছে, লন্ডনের অভিযোগ ক্রেমলিন প্রত্যাখ্যান করেছে। এ অভিযোগের পেছনে সত্যিকারের কোনো প্রমাণ নেই।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেন, মহামারি সংক্রান্ত গবেষণায় রুশ গোয়েন্দা সংস্থার হামলা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য। অন্যরা যখন স্বার্থপরতার জন্য বেপরোয়াভাবে ছুটছেন, যুক্তরাজ্য ও তার মিত্ররা তখন একটি ভ্যাকসিন পেতে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে।

এনসিএসসি বলছে, হামলা অব্যাহত আছে। এতে স্পিয়ার-ফিশিং ও কাস্টম ম্যালওয়্যারসহ বিভিন্ন যন্ত্র ও প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। কোভিড-১৯ টিকা গবেষণা ও উদ্ভাবনে জড়িত সংস্থাগুলোকে টার্গেট বানিয়ে এপিটি২৯ সাইবার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এ সময় মহামারি নিয়ে অতিরিক্ত গোয়েন্দা প্রশ্নেরও জবাব খুঁজছে তারা।