করোনায় অবরুদ্ধ বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ মানুষ

A picture shows the Houses of Parliament (L) at the end of an empty Westminster Bridge with one pedestrian on the pavement in central London in the morning on March 24, 2020 after Britain ordered a lockdown to slow the spread of the novel coronavirus. - Britain was under lockdown March 24, its population joining around 1.7 billion people around the globe ordered to stay indoors to curb the "accelerating" spread of the coronavirus. (Photo by JUSTIN TALLIS / AFP)

ভারতের ১শ কোটিরও বেশি লোক বুধবার তিন সপ্তাহের লকডাউনে গেছে। ভয়াবহ করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ মানুষ এখন ঘরে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। এই মহামারী জাপানকে অলিম্পিক ক্রীড়া আয়োজন আগামী বছর পর্যন্ত স্থগিত করতে বাধ্য করেছে। এদিকে আগামী ১২ এপ্রিল ইস্টার সানডে। সে নাগাদ পরিস্থিতির উন্নতির আশা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তার আশাবাদ সত্ত্বেও ভাইরাস মোকাবেলায় অঙ্গরাজ্য সরকারগুলো নজিববিহীন উদ্যোগ নিয়ে যাচ্ছে। ভারত তার দেশের ১শ ৩০ কোটি লোককে আগামী তিন সপ্তাহ ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। এক টেলিভিশন ভাষণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ভারতকে রক্ষায়, ভারতের প্রত্যেক নাগরিককে রক্ষায় আপনি, আপনার পরিবার, প্রতিটি সড়কসহ সবকিছু লকডাউনের আওতায় থাকবে। এদিকে গতবছর চীন থেকে ভয়াবহ এই ভাইরাস বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। চীনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসার পর এখন তারা কঠোর পদক্ষেপগুলো অনেকটাই শিথিল করেছে।

করোনার কারণে খেলাধুলাসহ বিশ্বের নানা সাংস্কৃতিক আয়োজন বন্ধ হয়ে গেছে। জাপানে ২০২০ সালে অলিম্পিক আয়োজনের কথা থাকলেও তা এখন ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত হবে। এ প্রথমবারের মতো আয়োজকরা অলিম্পিক আয়োজন একবছর পেছাতে বাধ্য হলেন। এদিকে এএফপি’র হিসেব মতে, কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮ হাজার ২শ এবং এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে চার লক্ষ পাঁচ হাজার জন। করোনা নিয়ে ইউরোপের পরিস্থিতি এখনও সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ইতালি থেকে মিশ্র সংবাদ পাওয়া গেছে। শনিবার দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ছিল ৭৯৩ জনে। দুদিন পর এ সংখ্যা কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৭৪৩ জনে। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে বলে নতুন রেকর্ডে বলা হয়েছে।

আয়ারল্যান্ডে বিশেষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সকল কার্যক্রম বন্ধ এবং ব্রিটেন লন্ডনে চার হাজার শয্যাবিশিষ্ট জরুরি হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। স্পেন ন্যাটো সামরিক জোটের কাছে বাস্তব সহায়তা চেয়েছে। করোনার কারণে আফ্রিকার পরিস্থিতিও নাজুক। তাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এমনিতেই ভঙ্গুর। তার উপর করোনা মোকাবেলায় হিমশিম খাওয়া আফ্রিকায় আক্রান্ত ও মৃত্যু দুটোর সংখ্যাই বাড়ছে। এদিকে আমেরিকার প্রায় ১৩ কোটি অথবা মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ লোক হয় ঘরে বন্দী না হয় শিগগীরই আটকা পড়তে যাচ্ছে। কারণ অঙ্গরাজ্যের সরকারগুলো বিশেষজ্ঞদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে আইসোলেশানকে প্রাধান্য দিচ্ছে। যদিও ট্রাম্প মনে করছেন, এর জন্যে আর্থিক মূল্য দিতে হবে অনেক। ফক্স নিউজকে তিনি বলেন, ‘অনেকেই আমার সাথে একমত হবেন। আমাদের দেশ তা বন্ধের জন্যে তৈরি হয়নি। সবকিছু বন্ধ রেখে তুমি একটি দেশ ধ্বংস করে দিতে পারো।’ তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/ আখনূর রহমান