করোনায় আক্রান্ত পুলিশের অন্তত ৬০ জন সদস্য

করোনা মোকাবিলায় পুরো দেশজুড়ে সাহসী ভূমিকায় পুলিশ। আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে খাবার সহায়তা, সবকিছুতেই এগিয়ে আসছেন তারা। কিন্তু এরইমাঝে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বাহিনীটির অন্তত ৬০জন সদস্য। কোয়ারিন্টিনে আছেন প্রায় সাড়ে ছয়শো। সদরদপ্তরের হিসেবে আক্রান্তের সংখ্যা ৪০। অন্যদিকে আজ থেকে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে আরো কঠোর হবার ঘোষণা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।

বিশ্বের বড় বড় দেশকে নাড়িয়ে দেয়া করোনার আঘাতে নাকাল বাংলাদেশেও। সরকারের দাবি, নানা পদক্ষেপে দেশে এখনও আয়ত্তের মধ্যেই, বিশ্বব্যাপী লাখো মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়া ভয়ঙ্কর এ অনুজীব।

দুর্যোগ মোকাবেলায় পুলিশের ভূমিকা সবসময়ই অগ্রগণ্য। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকেই মাঠে তৎপর এ সামাজিক বাহিনী। নিরাপত্তার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত, আক্রান্তদের হাসপাতালে নেয়া, লকডাউন মানতে বাধ্যকরাসহ নানা মানবিক কাজে সামনের সারিতে বাহিনীটি।

পর্যাপ্ত সুরক্ষা ছাড়ায় এসব কাজ করতে গিয়ে, এরইমধ্যে করোনায় আক্রান্ত অনেক পুলিশ সদস্য। আক্রান্তরের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে। এরপর গোপালগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে। গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, শেরপুরসহ অন্যান্য ইউনিটেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।

শুক্রবার পর্যন্ত পাওয়া তথ্য বলছে, প্রায় ১৫০ জন পুলিশ এখনও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারিন্টিনে। ছাড়পত্র পেয়েছেন প্রায় ৩০০ জন।

যদিও একেবারেই প্রান্তিক পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের আশংকা, গাদাগাদি করে ব্যারাকে থাকা, পর্যাপ্ত সুরক্ষা না পেয়ে ও দায়িত্ব পালন করার কারণে সামনে আরো বেশি সদস্য আক্রান্ত হতে পারেন করোনা ভাইরাসে।

এই যখন অবস্থা তখন শনিবার থেকে ঢাকায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে আরো কঠোর অবস্থান নিয়েছে ডিএমপি। শুক্রবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। সেখানে অংশ নেন আসাদুজ্জামান কামাল ও ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলামসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।

তবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে অন্যদিনের মতো গড়গড়তার চিত্র। মানুষজনের দাবি, তারা জরুরি কাজেই বের হচ্ছেন। যদিও পুলিশ বলছে, জরুরি কাজ ছাড়াও অনেকেই বাইরে এসে জমায়েত করছে। কিছু জায়গায় কঠোর মনোভাব দেখালেও বেশিরভাগ স্থানে এখনও সাধারণ মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।