“কর্পোরেট গভর্ন্যান্স কোড অব বিএসইসি অ্যান্ড সাইবার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট” শীর্ষক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত

তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কর্পোরেট গভর্ন্যান্স কোড প্রণয়ন করা হয়েছে, যার মূল উদ্দেশ্য হলো সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। বর্তমানে যেহেতু কর্পোরেট সেক্টর বড় হচ্ছে, তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যাও বাড়ছে তাই এই খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কর্পোরেট গভর্ন্যান্স কোড প্রণয়ন করা হয়েছে। কর্পোরেট গভর্ন্যান্স কোড সুষ্ঠুভাবে পরিপালনের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। ৭ মার্চ ২০১৯ তারিখে ঢাকার স্থানীয় একটি হোটেলে “কর্পোরেট গভর্ন্যান্স কোড অব বিএসইসি অ্যান্ড সাইবার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট” শীর্ষক দিনব্যাপী ওয়ার্কশপের উদ্বোধনকালে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ডিএসই’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল হাশেম এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, একজন বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগের পূর্বে কোম্পানি সম্পর্কে সঠিক এবং স্বচ্ছ ধারণা থাকা প্রয়োজন। আর্থিক প্রতিবেদন একটি কোম্পানির অবস্থার প্রতিফলন করে। কোন নীতিমালার অধীনে প্রস্তুতকৃত আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগের যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সেটি সঠিক হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বর্তমান সময়ে প্রযুক্তিক ছাড়া ব্যবসা অকল্পনীয়। ব্যবসায়ের সকল ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার যেমন ব্যবসাকে গতিশীল ও সহজ করেছে তেমনি ব্যবসাকে ঝুঁকির মধ্যেও ফেলেছে অনেকাংশে। আর এই সমস্যা থেকে উত্তোরণের জন্য প্রয়োজন সাইবার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট। আমি আশা করি এ ওয়ার্কশপের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীগন উপকৃত হবেন।
এর পূর্বে স্বাগত বক্তব্যে ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে. এ. এম মাজেদুর রহমান বলেন, কর্পোরেট গভর্ন্যান্স কোড বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন সম্প্রতি প্রবর্তন করেছে। সারা পৃথিবীতে কোন কোম্পানির মান নির্ধারনে কর্পোরেট গভর্ন্যান্স কোড একটি বড় ভূমিকা পালন করে। কোডের চেয়েও সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমরা নিজেরা কতটুকু পরিপালন করার জন্য আগ্রহী। প্রত্যেকটি কোম্পানির উদ্যোক্তা এবং শেয়ারহোল্ডারদের প্রতি একটি দায়িত্ব রয়েছে। প্রতিটি কোম্পানির উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য কর্পোরেট গভর্ন্যান্স এর ভূমিকা অপরিসীম।
তিনি আরও বলেন, সাইবার সিকিউরিটিজ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিএসই’র নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যারা রয়েছে সবার সিস্টেমগুলো একসূত্রে জড়িত। সেখানে প্রত্যেকের দায়িত্ব রয়েছে সুরক্ষার ব্যবস্থা করার। ডিএসই মনে করে বিভিন্ন সময়ে কর্তৃপক্ষ যে কোডগুলো প্রচলন করে থাকে সেগুলো বুঝার জন্য এবং সঠিক বাস্তবায়নের জন্য এ ধরনের ওয়ার্কসপ আয়োজন করা প্রয়োজন। ডিএসই’র এটি প্রথম উদ্যোগ এবং ভবিষ্যতে এটি অব্যাহত থাকবে।
ধন্যবাদ বক্তব্যে ডিএসই’র প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা আব্দুল মতিন পাটওয়ারী, এফসিএমএ বলেন, আমাদের অনেক আইন রয়েছে কিন্তু সকল আইনের প্রয়োগ নেই। আইনগুলোর যথাযথ প্রয়োগের দায়িত্ব আমাদের সকলের। এজন্য সকলের চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন আনতে হবে। অন্যের দিকে না তাকিয়ে নিজেদের শুরু করতে হবে। তাহলে আমরা একটি সুন্দর দেশ গঠন করতে পারব।
ওয়ার্কশপে রিসোর্স পার্সন হিসাবে ছিলেন ইন্সটিটিউট অব ইন্টারনাল অডিটরস বাংলাদেশের পরিচালক জনাব এমাদুল হান্নান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র উপ-মহাব্যবস্থাপক ও ট্রেনিং একাডেমির ইনচার্জ মিসেস হোসেনে আরা পারভিন।