কর্মক্ষেত্রে নিহতের সংখ্যা বেড়েছে

চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে সারা দেশে কর্মক্ষেত্রে ২২০ জন শ্রমিক নিহত হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক নিহতের এই সংখ্যা ২০১৬ সালের একই সময়ের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি।

সেফটি এন্ড রাইট সোসাইটি নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক জরিপে দেখা গেছে, ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাস সময়ের মধ্যে ১৬৮টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর তাতে নিহত হয়েছে ২২০ জন। অপর দিকে ২০১৬ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে ১৩৯টি। তাতে মোট ১৯২ জন শ্রমিক নিহত হন।

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা উন্নয়নে কাজ করা সেফটি এন্ড রাইট সোসাইটি ১৫টি জাতীয় দৈনিক ও ১১টি আঞ্চলিক দৈনিক সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের ওপর জরিপ করে এই তথ্য পেয়েছে।

সংস্থাটির জরিপ অনুসারে, আলোচ্য সময়ে সবচেয়ে বেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে নির্মাণ খাতে। এই খাতে ওই ছয় মাসে মোট ৬৭ জন শ্রমিক নিহত হয়েছে। এরপরে হোটেল, ওয়ার্কশপ ও বিদ্যুৎ খাতের মতো সেবা খাতে ৬০ জন নিহত হন। এরপরে উৎপাদন খাতে নিহত হয়েছেন ৩৪ জন শ্রমিক। পাশাপাশি পরিবহণ খাতে ৫৪ জন এবং ৫জন কৃষি শ্রমিক এই সময়ে নিহত হয়েছেন।

এছাড়া আলোচ্য সময়ে কর্মক্ষেত্রে যাওয়া সময় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৬৭ জন শ্রমিক তবে তাদের এই জরিপের আওতায় রাখা হয়নি বলে সেফটি এন্ড রাইট সোসাইটি জানিয়েছে।

তবে কর্মক্ষেত্রে অনেক মৃত্যুর ঘটনার কোনো খবর সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়নি দাবি করেছে সেফটি এন্ড রাইট সোসাইটি। সব দুর্ঘটনার খবর প্রকাশিত হলে এই সংখ্য আরও অনেক বেশি হতো বলে দাবি সংস্থাটির।

তবে বাংলাদেশইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) এর তথ্য মতে, ২০১৬ সালে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ৬৯৯ জন শ্রমিক নিহত হন। এর মধ্যে ২৮ জন নারী শ্রমিক। এসব দুর্ঘটনায় আহত হন আরো ৭০৩ জন, যার মধ্যে নারী রয়েছেন ১৭৪ জন। এছাড়া সহিংসতায় নিহত হন আরো ১৮৯ জনশ্রমিক, যার মধ্যে ৪০ জন নারী। এসব ঘটনায় আহত হন আরো ৩৯০ জন শ্রমিক। এ সময়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকেরসংখ্যা ১৪৯, যার মধ্যে ৩৪ জনই নারী। আর আহত হন ৯৬ জন শ্রমিক। গত বছর সারা দেশে শ্রম অসন্তোষ ও শ্রমিকআন্দোলনের ঘটনা ঘটে ২৩৭টি।

আজকের বাজার: আরআর/ ০১ আগস্ট ২০১৭