কাতারে জনশক্তি রপ্তানিতে ফিলিপাইনের নিষেধাজ্ঞা

কাতারের সঙ্গে বেশ কয়েকটি আরব দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের পর সে দেশে শ্রমিকদের যাওয়ার ব্যাপারে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ফিলিপাইন।

কাতার ইসলামী জঙ্গি গোষ্ঠী ও ইরানকে সন্ত্রাসে মদদ দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আর তার জেরে গত সোমবার সৌদি আরব, মিশর, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেন সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দেয়। দেশটিকে এখন একঘরে করে রাখছে প্রতিবেশিরা।

বিবিসির খবরে বলা হচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিপাইন থেকে যাওয়া ২০ লাখের বেশি বৈধ কর্মী আছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৪০ হাজারের মতো শ্রমিক কাতারে।

সরকার বলছে, কাতার সংকট ইস্যুতে এখন দেশটিতে থাকা প্রবাসী শ্রমিকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে; যা দিনকে দিন বাড়ছে। এই উদ্বেগের মুখেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।

ফিলিপাইনের শ্রম সচিব সিলভেসতার বেললো বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি পুরোপুরি মূল্যায়ন না হওয়া পর্যন্ত কাতার যাওয়ার ক্ষেত্রে কর্মীদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।

তবে ইস্যুটি নিয়ে অনেকে যে একটু বেশি গুজব ছড়াচ্ছেন তা তিনি স্বীকার করেন। মধ্যেপ্রাচ্য থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সে অর্থনীতির বড় একটি চাহিদা পূরণ হয় ফিলিপাইনের।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরে দেশটিতে ২৬.৯ বিলিয়ন ডলার অর্থ পাঠিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যে থাকা প্রবাসীরা; যা তাদের জিডিপির প্রায় ১০ শতাংশ। ফিলিপাইন সরকার বলছে, তাদের প্রধান উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে- কাতারে খাদ্য সংকটের সম্ভাব্য ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া। কারণ দেশটি তার উৎপাদনের ৯০ শতাংশ চাহিদা আমদানি করে মেটায়।

তবে কাতার সরকার সোমবার এ প্রসঙ্গে জানিয়েছে, ৬ দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ায় তাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। কারণ তারা স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

প্রসঙ্গত, বিদেশি শ্রমিকদের ওপর মোটাদাগে নির্ভরশীল কাতার। ২৫ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশই বাইরের। এর মধ্যে রয়েছে ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশের প্রবাসীও।

আজকের বাজার : এলকে /এলকে ৭ জুন ২০১৭