কাতার সংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের আহবান অগ্রাহ্য

মানিবক বিপর্যয়ের আশঙ্কার বিষয়ে সতর্ক করে কাতার সংকট সমাধানের জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে আহ্বান জানিয়েছেন তাতে কার্যত সাড়া দেয়নি উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো। খবর বিবিসির।

বরং সন্ত্রাসে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ তুলে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর এবং বাহরাইন কাতারের সাথে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পর এই পদক্ষেপের সমর্থনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে দেশগুলো।

আরব আমিরাত ট্রাম্পের নেতৃত্বের প্রশংসা করেছে। কিন্তু তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন কাতারের ওপর এ ধরনের পদক্ষেপের ফলে মানবিক বিপর্যয়ের ফলাফল সৃষ্টি হতে পারে বলে অবরোধ শিথিলের যে আহবান জানিয়েছেন, সে বিষয়ে নিশ্চুপ মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশগুলো। টিলারসেন বলেন, একদিকে এটা মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি করবে অন্যদিকে তা সন্ত্রাস প্রতিরোধে আঞ্চলিক সহাবস্থানের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে। তিনি আরও বলেন, এই ধরনের অবরোধ এই অঞ্চলে মার্কিন এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত করবে।

অন্যদিকে কাতারকে উদ্দেশ্য করে শুক্রবার ট্রাম্প বলেন, ‘মানুষের দ্বারা অন্য মানুষকে হত্যার শিক্ষাদান থেকে বিরত থাকুন।’ তিনি বলেন, ‘আমি রেক্স টিলারসনের সাথে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, সন্ত্রাসী মতাদর্শে আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া বন্ধ করার জন্য কাতারকে চাপ প্রয়োগের সময় এসেছে। এক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ দেশগুলোর সাথে কাতারও ফিরে আসবে তিনি এমনটা মনে করেন বলেও উল্লেখ করেন।’

ট্রাম্পের এই বক্তব্য তার প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের বিপরীত। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহবানের পর এখন পর্যন্ত সৌদি আরব, বাহরাইন এবং আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য আসেনি।

সন্ত্রাসে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ তুলে সোমবার কাতারের সাথে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের ছয়টি দেশ। তবে এ অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে আসছে কাতার।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ১১ জুন ২০১৭