কারন ছাড়াই টানা পতন সূচক উধাও ১৫০ পয়েন্ট!

কারন ছাড়াই পুঁজিবাজারে আবারও বড় পতন ঘটছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে দেশের দুই পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক এই দরপতনের নির্দিষ্ট কোন কারন না
থাকলেও টানা সূচক আর দর পতন ঘটছেই। এই পতনের শুরুটা হয় গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার।

ওইদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছিল ৩৮ পয়েন্টের বেশি।

দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটির পর রোববার চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেও আবার সূচক ৫২ পয়েন্ট কমে ডিএসইএক্স। আর সবশেষ সোমবার ডিএসইএক্স কমেছে প্রায় ৫৮ পয়েন্ট। তিন কার্যদিবস মিলিয়ে প্রায় ১৫০ পয়েন্ট পড়ে গেছে প্রধান সূচক। গত ১৮ কার্যদিবসে প্রায় ৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ সূচক হারিয়েছে ডিএসই। ঢাকার মত চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দরপতনের একই চিত্র দেখা গেছে।

তিন কার্যদিবসে চট্টগ্রামের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে যথাক্রমে ৫০, প্রায় ১৮৫ এবং ২২২ পয়েন্ট।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন টানা এই দর পতনের কোন কারন নেই। সামনে নির্বাচনের কারনেই অনেকে সতর্ক অবস্থান নিচ্ছে বলে কেউ কেউ মনে করছেন। এই দরপতনের কারণ সম্পর্কে কোনো সূনির্দিষ্ট ধারণা নেই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ঠ কারই।

সম্প্রতি পুঁজিবাজার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক বক্তব্য, চীনা কনসোর্টিয়ামের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে তিন বছরের জন্য বিনিয়োগ করলে ১০ শতাংশ কর ছাড়ের ঘোষণা, সব কিছু ইতিবাচক থাকার পরও টানা সূচক পড়ছেই। এতে বিনিয়োগকারীরা হতাশ।
চীনা কন্সোর্টিয়াম থেকে পাওয়া অর্থের পুরোটাই আগামী তিন বছরের জন্য বিনিয়োগ হবে পুঁজিবাজারে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)-এর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন এ প্রসঙ্গে আজকের বাজারকে বলেন, ‘চীনের সেনজেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার সিদ্বান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী অক্টোবর মাসের ১০ তারিখের মধ্যেই ডিএসই’র সব সদস্য ব্রোকারেজ হাউজের হিসাবে জমা হবে।তার জন্য নতুন ব্যাংক হিসাব খোলা হবে যার মাধ্যমে সকল সদস্য এই টাকা পাবে। তবে শর্ত থাকবে এই টাকা আগামী তিন বছর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে হবে এবং ডিএসই তার তদারকি করবে।

তিনি আরও বলেন, ডিএসই’র শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে যারা চীনা দুই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ তিন বছরের জন্য পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবেন, তাদের উৎসে কর দিতে হবে ১৫ শতাংশের বদলে ৫ শতাংশ হারে। এ কারণে ডিএসই’র সব সদস্যই চীনা দুই প্রতিষ্ঠানের টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে চান।

জাকির/ আজকের বাজার