কারাগারে হচ্ছে ‘কারখানা’

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জেলখানার ভেতরে চালু হতে যাচ্ছে তৈরি পোশাক কারখানা বা গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি। বুধবার ২৭ ডিসেম্বর নারায়নঞ্জ জেলা কারাগারে এই মিনি পোশাক কারখানার উদ্বোধন করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

নারায়নঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার সুভাষ কুমার ঘোষ জানান, এই উদ্যোগের মধ্যদিয়ে কয়েদিরা তাদের শ্রম দিয়ে নিজেদের অর্থনৈতিক অবস্থার বদল ঘটাতে পারে। এছাড়া দেশের অর্থনীতিতেও বিরাম ভূমিকার রাখবে এই উদ্যোগ।

সুভাষ ঘোষ জানান, বাংলাদেশ নীটওয়ার উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএ জেলখানার ওই মিনি গার্মেন্টে কাজ করার জন্য কয়েদিদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। আজ থেকে জেলখানার ভেতরেই তারা দুই শিফটে কাজ শুরু করবেন।

সুভাষ ঘোষ জানান, জেলের ভেতরে এই কারখানায় কাজ করে কয়েদিরা যা আয় করবেন তা তারা চাইলে পরিবারে পাঠাতে পারবেন।

এছাড়া কয়েদি চাইলে তিনি যখন কারমুক্ত হবেন তখন একবারে এই অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন।

জানা গেছে, নারায়নগঞ্জ জেলা কারাগারের প্রায় ৫০০০ বর্গফুট এলাকায় কারখানাটি গড়ে তোলা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও সমাজসেব অধিদপ্তর এতে সার্বিক সহায়তা দিয়েছে।

প্রাথমিকভাবে কারখানাটিতে ৫৭টি সেলাই ও এম্রোডারির মেশিন বসানো হয়েছে।

সুভাষ ঘোষ জানান, তারা আশা করবেন অন্যান্য কারখানার কাপড় যেমন বিদেশে রপ্তানি হয় তেমনিভাবে এই কারখানার পোশাকও বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে।

উল্লেখ, নারায়নগঞ্জের এই কারাগারে আগে থেকেই কয়েদিদের আয় বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সেখানে ৬টি তাঁতকল বসানো হয়েছে। যাতে ১২জন কয়েদি জামদানি শাড়ি বুনন করছেন। এছাড়া আরও ২০ থেকে ২৫ জন কয়েদি বিছানার চাদর তৈরি করছেন।

আজকের বাজার : এলকে ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭