কিংবদন্তি সুরকার খৈয়াম আর বেঁচে নেই

CREATOR: gd-jpeg v1.0 (using IJG JPEG v62), default quality

অমিতাভের ঠোঁটে ‘কাভি কাভি মেরে দিল মে খায়াল আতা হ্যায়… ’ গানের কিংবদন্তি সুরকার মো. জহুর হাশমি খৈয়াম (৯২) আর নেই। সোমবার রাতে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

গত জুলাইয়ের শেষ দিকে ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে মুম্বাইয়ের জুহুতে এক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন খৈয়াম। সেসময় থেকেই হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন তিনি। তার দেখাশোনা করছিলেন গজল গায়ক তালাত আজিজ। সঙ্গে ছিলেন খৈয়ামের স্ত্রী জগজিৎ কউরও।

তালাত আজিজ জানান, রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ মারা যান খৈয়াম। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল খৈয়ামকে। মঙ্গলবার মুম্বাইয়ে খৈয়ামের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।

প্রায় চার দশক ধরে হিন্দি ফিল্মের পর্দায় গজলকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন মহম্মদ জহুর হাশমি খৈয়াম। হিন্দি ফিল্মের উৎসাহীরা যাকে চেনেন খৈয়াম নামে। তার সঙ্গে ছিল কাইফি আজমি বা জান নিসার আখতারের মতো কবির লেখনী। তবে শুধু গজল নয়, সুরের সৃষ্টিতে খৈয়াম অমর করেছেন বহু সাধারণ মানের লেখনীও।

অবিভক্ত ভারতের পাঞ্জাবে ১৯২৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি জন্ম খৈয়ামের। ছোটবেলা থেকেই হিন্দি ফিল্মের গানের প্রতি টান। গান শিখতে একবার বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে চলেও আসেন দিল্লিতে, চাচার বাড়িতে। ইচ্ছা অভিনেতা হবেন। তবে শেষমেশ সে সব ছেড়ে এক সময় বাড়িতে ফিরে যান। তখন থেকে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের তালিম শুরু। প্রথমে পণ্ডিত অমর নাথ এবং পরে বাবা চিস্তির কাছে সঙ্গীতের হাতেখড়ি। সেই বাবা চিস্তির সহকারি হিসেবেই ফিল্মে সঙ্গীত পরিচালনা কাজে মন দেন। ১৯৬১-তে রমেশ সহগলের ফিল্ম ‘শোলা অউর শবনম’-এর গানে সুর দিয়ে নজর কাড়েন তিনি। সেই শুরু! এরপর ‘ত্রিশূল’, ‘বাজার’, ‘উমরাও জান’, ‘নুরি’, ‘রাজিয়া সুলতান’— একের পর এক ফিল্মে দর্শককে বেঁধেছিলেন তার সুরের জালে। পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার, সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি বা পদ্মভূষণ সম্মান।

প্রতিভাবান এই শিল্পীর মৃত্যুতে হিন্দি ফিল্মের জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ