‘কুবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়রানিমূলক’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও প্রভাষক মাহবুবুল হক ভূইয়ার (তারেক) বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক, মিথ্যা অভিযোগ উল্লেখ করে এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার ঢাবির অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী’ ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রভাষক কাজী আনিস, যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার নাজমুল হোসেন, মনিরুল ইসলাম, সময় টিভির রিপোর্টার মানোয়ার হোসেন, আর টিভি’র রিপোর্টার আল আমিন খান, ঢাবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ফরহাদ উদ্দীনসহ বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৫ আগস্টে শোক দিবসের দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক মাহবুবুল হক ভূইয়া (তারেক) ক্লাস নিয়ে বঙ্গবন্ধুর অবমাননা করেছেন এমন অভিযোগ করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। এটি সম্পূর্ণ হয়রানিমূলক, মিথ্যা অভিযোগ। তারেকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যলয়ের কাছে আবেদনও জানিয়েছেন। মানববন্ধন থেকে তারেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান তারা। এছাড়া তারেকের বিরুদ্ধে কোন প্রকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নেন তাহলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুশিয়ারি দেন বক্তারা।

নামজুল হোসেন বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে এটা আসলে একটা ষড়যন্ত্র। বরং সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতের আঁধারে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বানাতে গিয়ে দুর্নীতি হয়েছে, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জড়িত। আর সে বিষয়ে তারেক অবস্থান নিয়েছিলেন। আর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ সে সময় ক্লাস সাসপেন্ড হয়ে গিয়েছিল। ক্লাস নেয়ার কোন সুযোগ নেই।

কাজী আনিস বলেন, আজকের অবস্থান কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়। অবস্থান বানোয়াট অভিযোগের বিরুদ্ধে। আমরা চাই দ্রুত তার এই হয়রানি বন্ধ করা হোক। তা না করা হলে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

ঘটনা সম্পর্কে তারেক তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, ডিপার্টমেন্টে গিয়ে দেখি ওরা (শিক্ষার্থীরা) সংখ্যায় প্রায় ১০-১২ জন। আর এর মধ্যেই আমার আরেকজন সহকর্মী অন্য ডিপার্টমেন্টের আরও দুজন সহকর্মীসহ রুমে। এ অবস্থায় তাদের সঙ্গে ওই রুমে বসে কথা বলা সম্ভব ছিল না। কারণে রুমে এত মানুষের বসার জায়গা ছিল না। আমি স্টুডেন্টদেরকে পাশের একটি রুমে বসতে বলি এবং নিজেও একটু পরে সেখানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করি। এর পরিপ্রেক্ষিতেই ক্লাস নেয়ার অভিযোগ তোলা হচ্ছে। আদতে ওই ব্যাচের ক্লাস অনেক আগেই শেষ। এখন তাদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। ইতিমধ্যে একটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিতও হয়েছে। সুতরাং ক্লাস নেয়ার অভিযোগ একেবারেই সঠিক নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সুত্র:বিবার্তা২৪.নেট

আজকের বাজার: সালি / ১৭ আগস্ট ২০১৭