কুমিল্লায় নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান

জেলার শ্রীকাইলে নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান পেয়েছে রাষ্ট্রীয় তেল গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান বাপেক্স। এটি শ্রীকাইল ইস্ট-১ গ্যাস ক্ষেত্রটি মুরাদনগর উপজেলায় অবস্থিত। নতুন আবিষ্কার হওয়া এ ক্ষেত্রটি দেশের ২৮তম। এখান থেকে প্রতিদিন আরও অন্তত ১২ মিলিয়ন ঘনফুট বেশি গ্যাস জাতীয় গ্রীডে যোগ হওয়ার আশা করছে বাপেক্স।

সূত্র জানায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবর গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন শুরু করে বাপেক্স। দীর্ঘ চার মাস খনন কাজের পর মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে গ্যাস স্তরের বিষয়ে নিশ্চিত হন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর মো. আব্দুল হান্নান জানান, কূপটিতে গ্যাসের চাপ ছিল ১৮৮০ পাউন্ড/ইঞ্চি (পিএসআই)। এখন কূপটি পরিষ্কার করার কাজ চলছে। এ কাজ শেষ হলেই কূপটি থেকে কী পরিমাণ গ্যাস পাওয়া যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলা যাবে। কুমিল্লার শ্রীকাইল পূর্ব-১ গ্যাসক্ষেত্রের প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ মুহাম্মদ কবীর জানান, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে ত্রি-মাত্রিক ভূ-তাত্ত্বিক জরিপের পর গ্যাসের অস্তিত্ব জানতে পারে বাপেক্স। পরে ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর মুরাদনগর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা শ্রীকাইলের পাশে হাজীপুর গ্রামে কৃষিজমির মধ্যে রিগ বসিয়ে প্রকল্পের খনন কাজ শুরু করে বাপেক্স। ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি খনন কাজ শেষ হয়। এরপর নানা খুঁটিনাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পরীক্ষামূলকভাবে পাইপের মুখে আগুন দিয়ে গ্যাসের চাপ পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয়। যে জায়গা থেকে আগেই গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে শ্রীকাইলের সেই অংশটির পাশেই হাজীপুর গ্রামে নতুন কূপটি পাওয়া যায়। শ্রীকাইল পূর্ব-১ গ্যাস প্রকল্পের খনন কর্মকর্তা মুহাম্মদ মহসিন আলম জানান, প্রাথমিকভাবে এ কূপে গ্যাসের চাপ বেশ ভালো পাওয়া যাচ্ছে। আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রসেস প্ল্যান্টে এ গ্যাস প্রক্রিয়াজাত করে জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

বাপেক্সের মহাব্যবস্থাপক (ভূ-তত্ত্ব) মো. আলমগীর হোসেন জানান, মাটির নিচে প্রায় তিন হাজার ৮০ মিটার গভীরে গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। গ্যাসের রিজার্ভ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, এ কূপ থেকে দৈনিক ১২ থেকে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। শ্রীকাইল পূর্ব-১ গ্যাস কূপটি খননে ৭০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।