কুড়িগ্রামে ১৮ হাজার হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে

ভারী বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢলে পানি বাড়তে থাকায় কুড়িগ্রামে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। জেলায় এ নিয়ে চলতি বছরে পঞ্চম দফা বন্যা আঘাত হেনেছে।

সোমবার সকালে ধরলা নদী কুড়িগ্রাম ব্রিজ পয়েন্টে বিপদ সীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও দুধকুমারসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপদ সীমার নিচে রয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপরিচালক শামসুদ্দিন মিঞা জানান, নতুন করে বন্যায় এখন ১৭ হাজার ১৩৫ হেক্টর রোপা আমন, ৬৫৫ হেক্টর মাশকালাই, ৩৫০ হেক্টর শাকসবজি ও ৮০ হেক্টর চিনা বাদাম খেত এখন পানির নিচে রয়েছে।

ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সদরের মোগলবাসা, হলোখানা ও কাঁঠালবাড়ী, রাজারহাটের ছিনাই, মীরেরবাড়ি, মহীধর ও দেবালয় এবং ‌ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙা ও শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের কয়েক শত হেক্টর জমির বেগুন, মূলা, কপি ও লাল শাকের খেত নষ্ট হয়ে গেছে।

বন্যাকবলিত এলাকায় খড় নষ্ট ও চারণ ভূমি ডুবে থাকায় দেখা দিয়েছে গোখাদ্যের সংকট। খড়ের দাম দ্বিগুণ হওয়ায় গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গরুর মালিকরা।

চরাঞ্চলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে বেড়েছে ভোগান্তি।

ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমার নদ-নদীর বিভিন্ন তীর এলাকায় ভাঙন চলছে। গত দুই দিনে আরও শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে বাঁধ ও রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছে। টানা বৃষ্টিতে তাদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। তিস্তা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে রাজারহাটের বিদ্যানন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ভাঙন অব্যাহত রয়েছে জেলার ৬৭ পয়েন্টে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ধরলাসহ অন্যান্য নদীর পানি আরও দুই-এক দিন বাড়বে। তবে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই।’