কুয়েতে আটকে পড়া কর্মীদের ফেরত আনবে সরকার

খাদ্য সংকট ও কোনও রকম চিকিৎসা ছাড়াই কুয়েতের বিভিন্ন ক্যাম্পে দিন পার করছেন বাংদেশের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কর্মী। তবে ফ্লাইট শিডিউল পেলে কর্মীদের দেশে ফেরত আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে ফেরত আনার আগেই প্রবাসী কর্মীদের করোনা পরীক্ষা ও যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা উচিৎ।

গেল পাঁচ বছরে কাজ নিয়ে কুয়েতে গেছেন প্রায় দেড় লাখ বাংলাদেশি কর্মী। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এপ্রিলে অবৈধ অভিবাসীদের দেশ ছাড়তে সময়সীমা নির্ধারণ করে, সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে কুয়েত সরকার। এ ঘোষণায় সাড়ে ৪ হাজার বাংলাদেশি সাধারণ ক্ষমার আবেদন করেন। কিন্তু কয়েক সপ্তাহেও দেশে ফিরতে না পেরে ক্যাম্পে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। এই পরিস্থিতিতে বিক্ষোভও করছেন অনেকে।

কুয়েতে আটকে পড়া অভিবাসীরা বলেন, আমাদের এখানে খাওয়া নেই পানি নেই। খুবই মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমা দের ২০ থেক ২৫ দিন ধরে এখানে আটকে রেখেছে। আমাদের দেশে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।

কুয়েত সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী- আর্থিক জরিমানা ছাড়াই সেদেশের যাবতীয় খরচে দেশে ফিরতে ও আবার কুয়েতে আসতে পারবেন প্রবাসীরা। কিন্তু ক্যাম্পের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গাদাগাদি করে থাকায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকে। এরই মধ্যে মারা গেছেন ৪ বাংলাদেশি।