‘কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে ধান কিনতে হবে’

জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) বলেছেন, মিল মালিক নয়, সরকারিভাবে কৃষকদের কাছ থেকে উৎপাদিত উদ্বৃত্ত ধান নির্ধারিত ন্যায্য মূল্যে কিনতে হবে। প্রয়োজনে বেসরকারি মালিকানাধীন গুদামগুলো সরকারি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে ধান সংরক্ষণের উপযুক্ত করে ধান সংরক্ষণ করতে হবে।

শনিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বানানী অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

জাপা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় চাল রপ্তানি ভবিষ্যৎ খাদ্য সংকট ঝুঁকি বহন করে। যথাযথ পরীক্ষা- নিরীক্ষা ছাড়া তড়িৎ সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হবে না। বোরো ধান নিয়ে কৃষকরা বিপাকে পড়েছে। কম মূল্যের কারণে হতাশাগ্রস্থ কৃষকরা বোরো মৌসুমে ধান কাটছে না।

তিনি আরও বলেন, প্রতি মণ ধান উৎপাদনে কৃষকদের খরচ হয়েছে ৯০৬ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু বাজারে প্রতি মণ ধানের দাম ৫০০ থেকে সাড়ে ৫৫০ টাকা। আবার ধান কাটতে একজন কৃষি শ্রমিককে তিন বেলা খাবারসহ মজুরি বাবদ খরচ পড়েছে ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা। এতে কৃষকরা মাঠের ধান কাটতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন।

এমন অবস্থায় সরকারকে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয় করে তা যথাযথ সংরক্ষণের আহ্বান জানান জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

জিএম কাদের বলেন, সংবাদ মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি, বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার বিদেশে চাল রপ্তানি করতে বিবেচনা করছে। আমরা মনে করি, চাল রপ্তানির পূর্বে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। কারণ, কোনো বিশেষ পরিস্থিতিতে চাল/খাদ্যদ্রব্য প্রয়োজন হলে দ্রুততার সাথে আমদানি করা সম্ভব নয়। এতে ভয়াবহ খাদ্য সংকটের ঝুঁকি সৃষ্টি হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব- মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা, প্রেসিডিয়াম সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী, আলমগীর সিকদার লোটন, নাজমা আক্তার, এমরান হোসেন মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব- শফিকুল ইসলাম শফিক, জহিরুল আলম জহির, হাসিবুল ইসলাম জয়, সাংগঠনিক সম্পাদক- শফিউল্লাহ শফি, মনিরুল ইসলাম মিলন, সাজ্জাদ পারভেজ চৌধুরী, রেজাউল রাজী চৌধুরী স্বপন, সোলায়মান সামী, দ্বীন ইসলাম শেখ, জাকির হোসেন মৃধা, আনোয়ার হোসেন তোতা প্রমুখ।

আজকের বাজার/এমএইচ