কোভিড-১৯ হৃদযন্ত্রকে যেভাবে প্রভাবিত করে

শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস হিসেবে পরিচিত হলেও, করোনাভাইরাস সরাসরি হৃদযন্ত্রের পেশীগুলোতে সংক্রামিত হতে পারে এবং এ অঙ্গের জন্য ক্ষতিকারক এমন অন্যান্য সমস্যার কারণ হতে পারে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা, খবর এপি।

কোভিড-১৯ ফুসফুসের কার্যকারিতা হ্রাস করার পাশাপাশি মানুষের হৃদযন্ত্রে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন সরবরাহ প্রক্রিয়াকেও বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

এছাড়া, মানবদেহ সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের চেষ্টা করার কারণে কখনও কখনও এটি অত্যাধিক প্রদাহজনক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

ভাইরাসগুলো রক্তনালীগুলোতে আক্রমণ করতে পারে বা তাদের মধ্যে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে রক্ত জমাট বেঁধে মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারে।

অনেক কোভিড রোগীর শরীরজুড়ে ক্লটস বা রক্ত জমাট বাঁধতে দেখা গেছে। যার ফলে অনেক চিকিৎসক রোগীর রক্ত পাতলা করার চেষ্টা করেছেন। যদিও এ চিকিৎসা পদ্ধতি সর্বসম্মত নয়।

শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. সন পিনে জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হৃদযন্ত্রের ভাইরাসজনিত ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে। তবে কোভিড-১৯ রোগীদের মাঝেও হৃদরোগের জটিলতা পাওয়া গেছে।

আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজির জার্নালে সাম্প্রতিক পর্যালোচনাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে হাসপাতালে ভর্তি কমপক্ষে ২৫ শতাংশ করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে হৃদরোগ থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। কিছু হাসপাতালে এ হার ৩০ শতাংশ বা তার বেশি।

এছাড়া, কিছু গবেষণায় উচ্চতর এনজাইমের স্তর এবং অন্যান্য লক্ষণ পাওয়া গেছে যা হালকা রোগে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যেও হৃদযন্ত্রের ক্ষতির ঈঙ্গিত দেয়। তবে সেই ক্ষতি স্থায়ী কি না তা জানা যায়নি।

ছোট এক গবেষণায় নিউমোনিয়ায় মারা যাওয়া কোভিড-১৯ রোগীদের হৃদযন্ত্রে ভাইরাসের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তবে ভাইরাসটি স্বাভাবিক হৃদযন্ত্রকে অকার্যকর করে তুলতে পারে কি না তা পরিষ্কার এখনও নয় বলে জানিয়েছেন আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজি বোর্ডের সদস্য ডা. টম ম্যাডডক্স।

তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও অনেক কিছুই জানি না।’