কোরবানির বর্জ্যে ডেঙ্গুর জেঁকে বসা নিয়ে সতর্ক থাকুন: সাঈদ খোকন

কোরবানির বর্জ্যে ডেঙ্গু যেন ফের জেঁকে বসতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

তিনি বলেন, কোরবানির ঈদে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার একটি বিষয় থাকে। প্রতিবছর ঈদের আগে আমরা মসজিদের ইমামদের নিয়ে বসি। তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা করা হয়।

রোববার নগর ভবনে ডিএসসিসি আয়োজিত কোরবানির পশুর বর্জ্যের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধের লক্ষ্যে মসজিদের খতিব-ইমামদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা ও অ্যারোসল স্প্রে বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।

কোরবানির ঈদে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের নির্দেশনা মানতে ইমামদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সাঈদ খোকন বলেন, পশু নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি দিতে হবে। কোরবানির পর বর্জ্য যথাযথ স্থানে ফেলে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দিতে হবে। এজন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে ব্লিচিং পাউডার যথাসময়ে পৌঁছে যাবে।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সবাইকে সচেতন করতে ইমামদের মসজিদে-মসজিদে খুতবার পর এক মিনিট বর্জ্য নিয়ে সচেতনতামূলক বয়ান দেয়ার আহ্বান জানান মেয়র। যে কোনো প্রয়োজনে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের হটলাইনে (০৯৬১১০০০৯৯৯) ফোন করার পরামর্শও দেন তিনি।

মেয়র বলেন, মসজিদে নামাজের আগে অ্যারোসল স্প্রে করতে পারেন। সামান্য সচেতনতা আমাদের সবাইকে নিরাপদে রাখতে পারে।

আল্লাহ তায়ালা মাফ করলে দ্রুত ডেঙ্গুমুক্ত শহর নিশ্চিত করতে পারবো বলে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিকে ডেঙ্গুমুক্ত করতে পারবো ইনশাল্লাহ।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনগণের সতর্কতা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করে মেয়র বলেন, চারদিকে যেমন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে তেমনি জনগণও যথেষ্ট সচেতন হয়েছে। এক মাস আগেও আমাদের জনগণের অনেকে ডেঙ্গু নিয়ে তেমন সচেতন ছিলেন না। এখন জনগণ যথেষ্ট সচেতন হয়েছেন। তাই এর প্রকোপ ধীরে ধীরে কমে আসছে। এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের প্রচেষ্টা ও জনগণের সচেতনতার ফলে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাচ্ছি। শিগগির দেখতে পারবো নতুন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমে আসছে।

ডেঙ্গু থেকে শহরকে রক্ষা করতে জনবল বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করে সাঈদ খোকন বলেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গু সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছি। প্রতিদিন অন্তত সাতটি বাড়ি করে দক্ষিণের প্রায় ৩৪৮০টি বাড়িতে লোক পাঠিয়ে ডেঙ্গুর লার্ভা নষ্ট করার কাজ করছি।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে হাজারো বাসা-বাড়ি থেকে ডেঙ্গু বা এডিস মশার লার্ভা নষ্ট করা হয়েছে। ডেঙ্গু রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ ও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গুরুতর অসুস্থ রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরিফ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মো. জাহিদ হোসেনসহ সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্পোরেশনভুক্ত প্রতিটি ওয়ার্ডের ইমামরা।

আজকের বাজার/এমএইচ