কোরবানির বর্জ্য অপসারণে মাঠে সিটি করপোরেশন

কোরবানির বর্জ্য অপসারণে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের আওতায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মাঠে নেমেছে। সিটি করপোরেশনের নিজস্ব দুই হাজার ৭০০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ছাড়াও অতিরিক্ত হিসেবে সর্বমোট নয় হাজার ৫০০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আর পাঁচ হাজার ২০০ পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ করছেন ঢাক দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায়। সবমিলিয়ে ১৪ হাজার ৭০০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ করছে দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এদিকে সুষ্ঠুভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার ছুটি বাতিল করেছে দুই সিটি করপোরেশন।

কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম গতিশীল করতে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। আগামী ২৫ আগস্ট পর্যন্ত তারা কেউ ছুটি নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসির সচিব শাহাবুদ্দিন খান।

ডিএসসিসির সচিব শাহাবুদ্দিন খান বলেন, এবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। এ ঘোষণা বাস্তবায়নের জন্য মঙ্গলবার থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত ডিএসসিসির কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী ছুটি নিতে পারবেন না। এবার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণে পাঁচ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী একসঙ্গে কাজ করবেন। তাদের সবাইকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র সদস্য জামাল মোস্তফা বলেন, ঢাকা মহানগরে বিশেষ করে ঈদুল আজহার সময় সুষ্ঠুভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। তবে নাগরিকরা যাতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে নির্বিঘ্নে ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে পারে সে লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ইতোমধ্যে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এ বছর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় আনুমানিক দুই লাখ ৩২ হাজার পশু কোরবানি দেওয়া হবে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১১ হাজার বেশি।

কোরবানির পশু জবাই করার জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এ বছর ৫৪৯টি স্থান নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে ১৮৩টি স্থানে নগরবাসীকে কোরবানি দেওয়ার জন্য প্যান্ডেলসহ বিভিন্ন সুবিধার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কোরবানি করা যাবে এরকম ৩৫৬টি স্থান চিহ্নিত করা আছে। কোরবানির জন্য সর্বমোট ৮০০ জন ইমাম ও ৫০০ জন মাংস প্রস্তুতকারীকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম তদারকি ও ত্বরিত অপসারণ কাজের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ওয়ার্ড-ভিত্তিক দায়িত্ব প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলা জানা গেছে।

তবে অভিযোগ রয়েছে, কোরবানির জন্য নির্ধারিত স্থান থাকলেও রাস্তায় রাস্তায় কোরবানির অভিযোগ উঠেছে। রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তার অলি-গলিতে কোরবানির পশু জবাই করতে দেখা গেছে।