কোরীয় উপসাগরীয় এলাকায় ফের মার্কিন বোমারু বিমান

আজকের বাজার ডেস্ক
উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ফের বোমারু বিমানের মহড়া দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে দেশ দুইটির নতুন এই মহড়ায় কোরীয় উপসাগরীয় এলাকায় নতুন উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের নৌ-ঘাঁটি গুয়ামে থেকে দুইটি বোমারু বিমান উড্ডয়ন করে। পরে সেগুলো দক্ষিণ কোরিয়ার আরও দুইটি এফ-১৫কে মডেলের যুদ্ধ বিমানের সঙ্গে যোগ দেয়।
দুই দেশের বিমানই দক্ষিণ কোরিয়ার জলসীমায় আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপনাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়।
এই মহড়ার বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে, উত্তর কোরিয়ার চলমান হুমকির বিরুদ্ধে আমাদের শক্ত অবস্থানের ধারাবাহিকতায় এই মহড়া পরিচালিত হয়েছে।
এদিকে ওই রাতেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দেশের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।
এর আগে গত মাসের ২২ তারিখে উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলের দিকে আন্তর্জাতিক আকাশ সীমায় মার্কিন বোমারু বিমান বি-১বি মহড়া দেয়। তখন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, যে কোনো প্রকার হুমকিকে পরাজিত করার সামরিক শক্তি যে যুক্তরাষ্ট্রের আছে তার একটা প্রদর্শনী দেওয়াই মূল উদ্দেশ্য।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন মুখপাত্র জানান, যুক্তরাষ্ট্র যে উত্তর কোরিয়ার ‘বেপরোয়া আচরণকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়েছে তা বোঝানোই এই শক্তি প্রদর্শনীর একটা উদ্দেশ্য।
এর আগে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইউং হো, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘উন্মাদ’ বলে উল্লেখ করেন এবং পরমাণু অস্ত্র বানানোর অধিকার যে তাদের আছে সে কথাও মনে করিয়ে দেন।
তিনি বলেন ট্রাম্পের এই আত্মঘাতী হামলার কারণে মার্কিন বেসামরিক নাগরিকের যদি কোনো ক্ষতি হয় তাহলে এই ক্ষেত্রে দায়ী থাকবে ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তাছাড়া হো ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত লোক বলেও তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন।
উত্তর কোরিয়ার মন্ত্রীর এইসব কথার জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষা করতে প্রয়োজনে পূর্ণাঙ্গ মাত্রায় সামরিক শক্তির ব্যাবহারের প্রস্তুতি যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের রয়েছে।
এই বাস্তবতায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজিত কথাবার্তা বিনিময়ের পর বোমারু বিমানের মহড়া উত্তেজনায় এখন ভিন্ন এক মাত্রা দিয়েছে।