কৌতুহলের বশে উপসর্গ ছাড়াও অনেকে আসছেন টেষ্ট করাতে

করোনা আতঙ্কে কেউ কেউ নিজের বিবেককে ভুলতে বসেছেন। শরীরে করোনার কোন লক্ষণ নেই। তারপরও নিশ্চিত হতে যাচ্ছেন পরীক্ষা কেন্দ্রে। এতে বাড়ছে সুস্থদেরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা, তেমনি বাড়ছে পরীক্ষার ফলাফল জট। যাদের পরীক্ষা করানো খুব জরুরি তারা পড়ছেন মারাত্মক ভোগান্তিতে। আক্রান্ত অনেকে রিপোর্ট হাতে পাওয়ার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন। এমন অবস্থায় সবাইকে সচেতন হবার আহবান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্নধার আবু সাইদ। করোনা মোকাবেলায় সহকর্মীদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নেমেছিলেন মাঠে। এখন নিজেই নানা উপসর্গে আক্রান্ত। করোনা টেস্ট করাতে গিয়ে ভোগান্তির এমন অভিযোগ অনেকেরই। রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে যার সত্যতাও মিলেছে।

শাহবাগে একমাত্র বিশেষায়িত ফিভার ক্লিনিকের সামনে দীর্ঘ লাইন। অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হবার নয়। কিন্তু সীমাবদ্ধতার কারণে অনেককে ফিরতে হচ্ছে টেস্ট না করিয়ে।

সময়ের সাথে বাড়ে লাইনের দৈর্ঘ্য। শারীরিক দূরত্বের বালাই নেই। সুস্থ মানুষও অসুস্থ হওয়ার জোগাড়। মাইকে বার বার সচেতনতার কথা বললেও থোরাই কেয়ার সাধারণের।

মুগদা জেনারেল হাসপাতালের চিত্রটাও একই। শুধু কৌতুহলের বশে উপসর্গ ছাড়াও অনেকে এসেছেন টেষ্ট করাতে। তাই ভিড়ের কারণে বিপাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, উপসর্গ ছাড়া এভাবে পরীক্ষা করাতে এলে সুস্থদেরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই হটলাইনে পরামর্শ নেয়ার অনুরোধ। টেস্টের মত রিপোর্টেও দীর্ঘসূত্রিতা। সেই জট ছাড়াতে সারা দেশে করোনা টেষ্ট সেন্টার বাড়ানোর পরিকল্পনা স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের।