ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলা, কয়েকজন হতাহত

নিউজিল্যান্ডের সেন্ট্রাল ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে আজ শুক্রবার জুমার নামাজের সময় হামলা হয়েছে। এক বন্দুকধারী মসজিদে প্রবেশ করে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলিবর্ষণ করে বলে খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা বন্দুকধারীকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তার পরিচয় জানা যায়নি। হামলায় বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আরেকটি মসজিদ খালি করা হয়েছে। তবে সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশী ক্রিকেটাররা নিরাপদে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ক্রাইস্ট চার্চের আন নূর মসজিদের কাছ থেকে গুলির শব্দ শোনা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অবস্থা খুবই খারাপ। হামলা থেকে রক্ষা পেতে অনেককে ছুটাছুটি করতে দেখা গেছে।
মোহন ইব্রাহিম নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডকে জানান, প্রথমে তাদের কাছে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা মনে হয়েছিল। কিন্তু পরে সব লোক দৌড়াতে থাকে।
তিনি জানান, তার কয়েকজন বন্ধু এখনো মসজিদে আটকা পড়ে আছে।
আন নূর মসজিদটি সেন্ট্রাল ক্রাইস্টচার্চে অবস্থিত। পাশের আরেকটি মসজিদ খালি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এক সাংবাদিক জানান, তিনি মসজিদ থেকে সরে আসতে পেরেছেন। ওই সাংবাদিক বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নিউজিল্যান্ড সফর কভার করছেন বলে বিবিসির খবরে বলা হয়।

এদিকে একটি অনলাইন পোর্টালের খবরে বলা হয় টাইগার সদস্যদের সবাই অক্ষত রয়েছেন। আজ (শুক্রবার) পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করতে গিয়ে এ ঘটনার মুখে পড়তে হলো তামিম ইকবাল, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলামদের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি টেস্ট সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ দল এখন অবস্থান করছে ক্রাইস্টচার্চে। শনিবার বাংলাদেশ সময় ভোরে হাগলি ওভালে স্বাগতকদের বিপক্ষে খেলতে নামার কথা রয়েছে বাংলাদেশ দলের।

খবরে বলা হয়, হুট করেই স্থানীয় সময় বেলার ১টা ৪০ মিনিটের দিকে বন্দুকধারী এক ব্যক্তি অতর্কিতভাবে ক্রাইস্টচার্চের সেন্ট্রাল মসজিদে ঢুকে এলোপাথারি গুলি শুরু করলে নিহত হন ছয়জন। তবে ঘটনার আকস্মিকতা টের পেয়ে বাস থেকে নেমে দ্রুতই হাগলি পার্ক দিয়ে মাঠে ফিরে যান তামিম-মিরাজরা। এসময় তারা স্থানীয় জনগণকেও সেন্ট্রাল মসজিদের আশেপাশে যেতে নিষেধ করেন।

তার আগে শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুরে ক্রাইস্টচার্চে টিম বাসে করে হাগলি পার্কের নিকটে একটি মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন তামিম, মিরাজ, তাইজুল, মুশফিকরা। এসময় তাদের সঙ্গ দিতে সাথেই ছিলেন সৌম্য সরকার, দলের স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচ মারিও ভিল্লাভারায়ন, দলের ডাটা অ্যানালিস্ট শ্রিনিবাসসহ বেশ কয়েকজন সদস্য।