ক্রিকেটারদের ১ম পর্বের অনুশীলন শেষ হলো সফলভাবে

করোনাভাইরাসের কারনে কড়া প্রোটোকলের মাঝে দেশের ক্রিকেটারদের জন্য অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। কড়া প্রটোকলের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের অনুশীলন সফলভাবে আজ শেষ হলো।

আসন্ন ঈদুল ফিতরের কারনে অনুশীলনে বিরতি দেয়া হয়েছে এবং পরবর্তীতে আবারো শুরু হবে। আশা করা হচ্ছে ১৩ ক্রিকেটারের সাথে পরবর্তীতে আরও খেলোয়াড় অনুশীলনে যোগ দিবেন।

খেলোয়াড়দের ইচ্ছাতেই স্টেডিয়ামে অনুশীলনের ব্যবস্থা করে বিসিবি। ১৯ জুলাই থেকে প্রাথমিকভাবে নয়জনকে নিয়ে অনুশীলন শুরু হয়। দেশের চারটি ভেন্যু-মিরপুর, সিলেট, খুলনা ও চট্টগ্রামে অনুশীলন করে তারা।

সর্বশেষ রাজশাহীতে নাজমুল হোসেন শান্ত অনুশীলনে অর্ন্তভুক্ত হন। এর আগে, মুশফিকুর রহিম-মোহাম্মদ মিঠুন-শফিউল ইসলাম-ইমরুল কায়েস-তাসকিন আহমেদ মেহেদি হাসান রানা মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেন।

অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ-মেহেদি হাসান ও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান অনুশীলন করেন খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেন পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও স্পিনার নাসুম আহমেদ।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে অনুশীলন করছেন অফ-স্পিনার নাইম হাসান। রোববার পর্যন্ত খেলোয়াড়দের অনুশীলনে নির্দেশিত সুরক্ষা সর্ম্পকিত সমস্যাগুলো পর্যবেক্ষন করে বোর্ড। একই সময় খেলোয়াড়দের সুরক্ষার বিষয়গুলোও পর্যবেক্ষণ করা হয়। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার কারনেই শুরুতে খেলোয়াড়দের অনুশীলনে অনিচ্ছুক ছিলো বিসিবি। যদিও বিশ্বের অনেক দেশই নিজেদের অনুশীলন শুরু করেছে।

তবে ৩৫ জন খেলোয়াড়ের সাথে ভার্চুয়াল বৈঠকের পর, বোর্ড ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরুর সিদ্বান্ত নেয়। যা ফিটনেস অনুশীলনের উপর নির্ভর করেছিলো। বোলাররা বোলিং অনুশীলনের কোন সুযোগ পাননি। তবে তারা জগিং ও জিম করে সন্তুস্ট ছিলেন। ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েছিলো, সেটিও আবার বোলিং মেশিনের মাধ্যমে। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান