ক্ষমতাসীন বিজেপি এগিয়ে

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) আবারও ক্ষমতায় আসছে।

ভারতের স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোট গণনা শুরু হয়, যা সন্ধ্যার মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে দুপুরের মধ্যেই আগামী পাঁচ বছর ভারতের শাসনক্ষমতায় কে থাকবে সেটি দৃশ্যমান হয়ে যাবে।

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের নিম্নকক্ষ লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ৫৪২টি আসনের জন্য সাতটি ধাপে দীর্ঘ ছয় সপ্তাহব্যাপী ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সরকার গঠন করার জন্য কোনো দল বা জোটকে ২৭২টি আসন পেতে হবে।

গত ১১ এপ্রিল শুরু হয়ে গত ১৯ মে শেষ হয় ভোটগ্রহণ। ১৩০ কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে এবার ভোটার সংখ্যা ছিল প্রায় ৯০ কোটি।

এবারের নির্বাচনকে ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) পাঁচ বছরের শাসনের গ্রহণযোগ্যতা যাচাই হিসেবে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তর প্রদেশের বারানসী আসনের প্রার্থী।

২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির দল ঐতিহাসিক বিজয় লাভ করেছিল। গত নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ পেয়েছিল ৩৩৬টি আসন। যার মধ্যে ২৮২টি আসন জিতে নিয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল বিজেপি। কংগ্রেস জিতেছিল মাত্র ৪৪টি আসনে।

এবারের নির্বাচনে বিজেপির মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে পুরোনো দল ভারতীয় কংগ্রেসের, যার নেতৃত্ব দিয়েছেন রাহুল গান্ধী।

এদিকে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক জোট (এনডিএ) এগিয়ে আছে বলে ভারতের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হয়।

চারটি বুথ ফেরত জরিপ অনুযায়ী, বিজেপির নেতৃত্বে জোট ২৮০ থেকে ৩১৫টি আসনে জয়লাভ করবে।

অপরদিকে নেলসন-এবিপি নিউজ-এর যৌথ জরিপে বলা হচ্ছে, বিজেপি জোট ২৬৭ টি আসনে জয়লাভ করবে, যেটি সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়ে কম।

উত্তর প্রদেশে বিজেপি জোট ব্যাপকভাবে পরাজিত হবে বলে এই জরিপে আভাস মিলছে। এই প্রদেশে ৮০টি সংসদীয় আসন রয়েছে। ভারতের অন্য যে কোনো প্রদেশের চেয়ে উত্তর প্রদেশে আসন সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি উত্তর প্রদেশে ৭১টি আসনে জয়লাভ করেছিল। এবার বুথ ফেরত জরিপে আভাস মিলছে, আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের কাছে ৫১ টির মতো আসন হারাতে পারে বিজেপি।

এর আগে বুথ ফেরত জরিপের প্রতিক্রিয়ায় বিজেপি তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে একটি কার্টুন পোস্ট করে, সেখানে নরেন্দ্র মোদী ছোট রাজনৈতিক দলগুলোকে পিষে দিচ্ছেন এবং দুপাশ থেকে মানুষ সে দৃশ্য দেখছে।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, তিনি এসব জরিপের গল্প বিশ্বাস করেন না। গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কারসাজি করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

অন্যদিকে বিজেপির প্রধান বিরোধী কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী টুইট বার্তায় নির্বাচন কমিশনের কঠোর সমালোচনা করেছেন। নির্বাচন কমিশন নরেন্দ্র মোদীর সাথে আপোষ করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।