বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি, উৎপাদন বাড়িয়ে রফতানি করবো

আমরা খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি, ভবিষ্যতে উৎপাদন বাড়িয়ে বিদেশে রফতানি করবো। পহেলা মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৩’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। আর কৃষককে হত্যা করেছিল বিএনপি সরকার বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এসময় বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে কৃষিখাত পিছিয়ে পড়েছিল। সার চাওয়ায় কৃষককে হত্যা করেছিল বিএনপি সরকার। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে কৃষকের ঘরে ঘরে সার পৌঁছে দিয়েছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নানা ভর্তুকি ও প্রণোদনার ফলে কৃষিখাত দিনে দিনে অগ্রগতি লাভ করছে। সরকার কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার ও গবেষণার ওপর বেশি জোর দিয়েছে। এই প্রযুক্তির কল্যাণে আমাদের কৃষকরা ধান উৎপাদনে সাফল্য দেখিয়েছেন। সেজন্য ধান উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ স্থান লাভ করেছে বাংলাদেশ।

শেখ হাসিনা বলেন, গত বছরও বারবার বৃষ্টি ও বন্যায় হাওরে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তবে আমরা খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। এখন আমরা মজুদের ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রত্যেক এলাকায় খাদ্য মজুদের ব্যবস্থার চিন্তা বঙ্গবন্ধুও করেছিলেন। আমরা নদীনালা ড্রেজিংয়ের উদ্যোগ নিয়েছি। সব খাল, বিল, পুকুর সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই কাজ করা হবে। ফলে জলাশয়গুলোর পানিধারণের ক্ষমতা বাড়বে এবং মাছের উৎপাদনও বাড়বে।

তিনি বলেন, ২ কোটির বেশি কৃষক কার্ড পেয়েছে। ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছি। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প হাতে নিয়েছি। গবেষণার ফলে সারা বছরই সব সবজি পাওয়া যায়। ১২ মাস সবকিছুই হচ্ছে। কৃষিভিত্তিক শিল্পও আমাদের লক্ষ্য। যে এলাকায় যেটা ভালো হয় সেটার উৎপাদন বাড়িয়ে বিদেশে রফতানির ব্যবস্থাও করবো।’

এ সময় কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে গত বুধবার চালু করা ‘কৃষি বাতায়ন’ ও ‘কৃষক বন্ধু ফোন সেবা’র কথা উল্লেখ্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এখন কোনো কৃষক চাইলে সরাসরি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে পরামর্শ করে তারা কৃষিকাজ করতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে দেশের ৩২ জনকে জাতীয় কৃষি পুরস্কারের স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক দেওয়া হয়। বাণিজ্যিক খামার, কৃষি সম্প্রসারণ ও গবেষণা এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবনসহ ১০টি ক্যাটাগরিতে দেওয়া হয় এ পুরস্কার।