খালেদার দুই মামলার হাজিরা পরোয়ানা প্রত্যাহারের নির্দেশ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুেদ্ধে দায়ের করা বড়পুকুরিয়া ও গ্যাটকো দুর্নীতির মামলায় জারি করা হাজিরা পরোয়ানা (পিডব্লিউ) প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) ঢাকার বিশেষ ২ নম্বর আদালতের বিচারক শাহ ইমরান এবং ৩ নম্বর আদালতের দিলজার হোসেন এ আদেশ দেন।

খালেদা জিয়ার পক্ষে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহারের আবেদন করে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট হান্নান ভূঁইয়া। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)’র পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল। আর এর বিরোধিতা করেন আইনজীবী ফাতিমা খানম নীলা।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলাটি করা হয়। ওই বছর ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা : ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী।

অভিযোগে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ গ্লোবাল অ্যাগ্রো ট্রেড কোম্পানিকে (গ্যাটকো) পাইয়ে দেয়ার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।

২০০৮ সালের ১৩ মে তদন্ত শেষে দুদকের উপপরিচালক জহিরুল হুদা খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। আগামী ২৪ জুন চার্জ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা: কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তির মধ্য দিয়ে সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

এ অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শামসুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করেন। মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়। ৫ অক্টোবর দুদকের উপপরিচালক মো. আবুল কাসেম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

আজকের বাজার/এমএইচ