খুলনার ডুমুরিয়ায় নেপিয়ার ঘাসের চাষ বাড়ছে

গবাদি পশুর খাদ্যের চাহিদা মেটাতে জেলার ডুমুরিয়ায় খড়ের বিকল্প খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত নেপিয়ার ঘাসের চাষ বাড়ছে।
কৃষি ও পতিত জমি এবং বাড়ির আশে-পাশে কান্ড রোপন করে ব্যাপকহারে এ ঘাসের চাষাবাদ হচ্ছে। ফলে আত্মনির্ভশীল হচ্ছে অনেক পরিবার।
১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ডুমুরিয়া উপজেলার বেশির ভাগ মানুষের পেশা কৃষি।পাশাপাশি অনেকেই গরু-ছাগল সহ বিভিন্ন গবাদিপশু পালন করেন। সম্প্রতি এ অঞ্চলে গরু পালন বেড়ে যাওয়ায় পশুখাদ্যের চাহিদা মিটাতে, বিশেষত খড়ের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বিদেশী নেপিয়ার জাতের ঘাস।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কৃষি ও পতিত জমি এবং বাড়ির আশেপাশে নেপিয়ার ঘাসের চাষ হচ্ছে। কান্ড রোপন করে এ ঘাসের চাষাবাদ করা হয়। ঘাস কাটার পর ওই গোড়া থেকেই আবার নতুন ঘাস জন্ম নেয়। ফলে নতুন করে আর রোপন করা লাগে না।

তারা জানান, সার ও কীটনাশক ছাড়া শুধুমাত্র গোবর ব্যবহার করে মাত্র ১৫ দিন পরপর এ ঘাস কাটা যায়। এছাড়া এ ঘাস খাওয়ালে গবাদিপশুর শরীরে কোন ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়েনা।

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, লাভজনক হওয়ায় ওই এলাকার অনেকেই গবাদিপশু পালনের দিকে ঝুঁকছেন। কেউ কেউ ব্যাংক ঋণ নিয়েও গরু পালন করছেন, খামারও গড়ে তুলেছেন।কিছু খামারে ২০ টি থেকে ৩০টি পর্যন্ত গরু রয়েছে। ফলে গরু-ছাগল প্রভৃতি গবাদি পশুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় খড় বা স্থানীয় ঘাসের পাশাপাশি বিকল্প খাদ্য হিসাবে দ্রুত বর্ধনশীল নেপিয়ার ঘাসের চাহিদা বাড়ছে।

বামুন্দিয়া গ্রামের বাসিন্দা সন্দীপন বিশ্বাস জানান, তার বাড়িতে চারটি বিদেশী জাতের গরু আছে। কিন্তু বিলে কোন ফসলি জমি না থাকায় খড় কিনে গরুর খাদ্যের চাহিদা পূরন করতে হতো। এতে অনেক টাকা খরচ হয়ে যেত। কিন্তু এখন বাড়ির পাশে বিশ শতক ডাঙ্গা জমিতে নেপিয়ার ঘাসের চাষা হচ্ছে। এতে কম খরচে চারটি গরুর খাদ্যের চাহিদা পূরণ হচ্ছে।
ডুমুরিয়া উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘কান্ড রোপন করে নেপিয়ার ঘাসের চাষাবাদ করা হয়। কোন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করা লাগে না। শুধুমাত্র গোবর সার ব্যবহার করে দ্রুত বর্ধনশীল এ ঘাষের চাষাবাদ করা যাচ্ছে। কোন ক্ষতিকর প্রভাব না থাকায় এ ঘাস গবাদিপশুর জন্য খুবই উপযোগি।’