গণপিটুনির মামলায় সংশ্লিষ্ট ১২জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ভারতে পশ্চিমবঙ্গে ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনিতে দু’জনের মৃত্যুর ঘটনায় এক মহিলা-সহ বারোজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বর্ধমান জেলার কালনা আদালত।

২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার রাঘবপুর থেকে পাঁচজন দিনমজুর আম গাছে কীটনাশক এবং পানি স্প্রে করার কাজের জন্য গিয়েছিল নদীয়ার পাশের জেলা বর্ধমানের কালনায়। কালনার বারুরইপাড়ায় যান তাঁরা। সেই সময় স্থানীয়দের একাংশ তাঁদের ছেলেধরা সন্দেহে আটক করে রাখে। ওই পাঁচ জন তাঁদের পরিচয়পত্র দেখান। তাঁরা কী কাজে এখানে এসেছেন, তাও জানান। কিন্তু উন্মত্ত জনতা তাঁদের কথা শোনেনি।

ওই পাঁচজনকে ছেলেধরা সন্দেহে বেধড়ক মারধর শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে আরও লোকজন জমায়েত হয়ে গণপিটুনি দেয় তাঁদের। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জখমদের উদ্ধার করে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করে। সেখানে অনিল বিশ্বাস ও মাণিক সরকার নামে দু’জনের মৃত্যু হয়। ব্যঞ্জন বিশ্বাস, মধুমঙ্গল তরফদার ও সমীর দাস গুরুতর জখম হন। সেদিন বিকেলেই মৃত অনিল বিশ্বাসের ছেলে রাজু কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

ঘটনার তদন্ত শুরু করে কালনা থানার পুলিশ। তদন্ত চলাকালীন এক নাবালক-সহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ। এই মামলার সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, “অভিযুক্তদের ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৯,৩২৬, ৩০৭, ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক।”এবং এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এক মহিলা-সহ বারোজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে কালনা আদালত।খবর ভিওএ

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান